মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট শনিবার এক আদেশে ট্রাম্প প্রশাসনের ভেনেজুয়েলান সন্দেহভাজন গ্যাং সদস্যদের বহিষ্কার স্থগিত করেছে। এই বহিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ১৮ শতকের একটি আইনের আওতায়।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।
এএফপি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মাসে ১৭৯৮ সালের অ্যালিয়েন এনিমিজ অ্যাক্ট (এইএএ) প্রয়োগ করে ট্রেন দে আরাগুয়া গ্যাংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ভেনিজুয়েলান অভিবাসীদের আটক ও পরবর্তী সময়ে এল সালভাদরের একটি সর্বোচ্চ নিরাপত্তার কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই আইনটির প্রয়োগ বিরল। অতীতে কেবল ১৮১২ সালের যুদ্ধ, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্ট শনিবার ভোরে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত আদেশে বলেছে, 'এই আদালতের পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে সংশ্লিষ্ট আটক ভেনিজুয়েলানদের কাউকেই বহিষ্কার করা যাবে না।'
টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে একটি আটককেন্দ্রে থাকা অভিবাসীদের বহিষ্কার ঠেকাতে মানবাধিকার আইনজীবীরা জরুরি আবেদন জানালে আদালত এই আদেশ দেয়।
আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) শুক্রবার রাতে দাখিল করা এক জরুরি আবেদনে জানায়, টেক্সাসে আটক ভেনিজুয়েলানদের জানানো হয়েছে যে তাদের এই আইন অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে, এমনকি শুক্রবার রাতেই বহিষ্কার করা হতে পারে।
আগে বহিষ্কৃত কয়েকজন ভেনিজুয়েলানের আইনজীবীরা জানান, তাদের মক্কেলরা ট্রেন দে আরাগুয়া গ্যাংয়ের সদস্য নন, তারা কোনো অপরাধও করেননি। মূলত ট্যাটুর ভিত্তিতে তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কারের অঙ্গীকার করে নির্বাচনী প্রচার চালানো ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, ভেনেজুয়েলা ট্রেন দে আরাগুয়া সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে ‘একটি আক্রমণ’ চালাচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্ট এর আগে জানিয়েছিল, এই আইনের আওতায় কাউকে বহিষ্কারের আগে অবশ্যই তাদের আইনি প্রতিরক্ষা উপস্থাপনের সুযোগ দিতে হবে।
এসিএলইউ তাদের আবেদনে জানায়, টেক্সাসে আটক অভিবাসীরা কোনো ধরনের নোটিশ বা শুনানির সুযোগ ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
সংস্থাটি আরও জানায়, অনেক ব্যক্তিকে ইতোমধ্যে বাসে তোলা হয়েছে, এবং অনুমান করা হচ্ছে তারা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম