অবশেষে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপন করা হয়েছে নতুন থার্মাল ইমেজ ডিটেকশন স্ক্যানার। স্ক্যানার দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রথম দিনে এক হাজার ৩৯১ জন যাত্রীকে পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে আজ শুক্রবার পর্যন্ত কারো শরীরেই জ্বর পাওয়া যায়নি।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার ওসমানী বিমানবন্দরে নতুন একটি স্ক্যানার এসে পৌঁছে। বুধবার এটি স্থাপন শেষে বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রীদের নতুন স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়। ওসমানী বিমানবন্দরের থার্মাল স্ক্যানার মেশিনটি প্রায় দেড় বছর ধরে বিকল থাকায় এতোদিন ইনফ্রারেড হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মাপা হচ্ছিল।
ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ নতুন থার্মাল স্ক্যানার স্থাপন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকাল থেকেই নতুন স্ক্যানার দিয়ে যাত্রীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সিলেট সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ওসমানী বিমানবন্দরে সব ফ্লাইটেই পালাক্রমে মেডিকেল টিম কাজ করছে।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল জানান, আগে ইনফ্রারেড হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটার দিয়ে পরীক্ষা করতে গিয়ে সময় লাগতো। এখন যাত্রীরা এ স্ক্যানারের ক্যামেরার সামনে দিয়ে হেঁটে গেলেই জ্বর আছে কি না শনাক্ত হয়ে যাচ্ছে সহজেই। এতে সময় সাশ্রয় হবে।
সূত্রটি জানায়, গতকাল সিলেট থেকে ঢাকাগামী সাতটি ফ্লাইটের ৭২৪ জন যাত্রীকে পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া লন্ডন থেকে সিলেট আসা ৪৬১ জন, জেদ্দা থেকে আসা ১৯১ জন এবং ঢাকা থেকে আসা ২১৫ জন যাত্রীকে পরীক্ষা করা হয়েছে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত