ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার কলেজে প্রবেশপথের (গেইট) এন্ট্রি খাতা থেকে এক ছাত্রীর নম্বর নিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে পুলিশকে জানিয়েছে। এছাড়া এখন থেকে ক্যাম্পাসে প্রবেশের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ফোন নাম্বার দিতে হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনার মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। ওই ঘটনার পর কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশের ক্ষেত্রে কাড়াকাড়ি আরোপ করে কর্তৃপক্ষ। প্রবেশপথে এন্ট্রি খাতার ব্যবস্থা করা হয়। যারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবেন, তাদেরকে নাম-পরিচয় ও নম্বর এন্ট্রি খাতায় লিখে যেতে হয়। এ এন্ট্রি খাতা থেকেই এক ছাত্রীর নম্বর নিয়ে তাকে হয়রানি করা হয়েছে।
এমসি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সে পড়ুয়া মাহরিন ঝুমু জানান, গত শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রয়োজনীয় কাজে তিনি আরও দুই সহপাঠীর সাথে ক্যাম্পাসে যান। প্রবেশ করার সময় এন্ট্রি খাতায় নিজের নাম-পরিচয় ও মোবাইল নম্বর লিখেন।
ওইদিন বিকালে তার ফোনে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে কল এলে তিনি রিসিভ করেননি। পরে অশ্লীল ভাষায় ওই নম্বর থেকে ম্যাসেজ প্রদান করা হয়। এরপর আবার ফোন দিলে রিসিভ করে পরিচয় জানতে চান। ওপ্রান্ত থেকে এক পুরুষ বলেন, ‘আপনার প্রিয়জন আমি’। নম্বর কোথায় পেলেন এমনটি জিজ্ঞেস করলে এমসি কলেজ গেইটের এন্ট্রি খাতা থেকে নেওয়ার কথা বলেন ওই পুরুষ।
এ বিষয়ে গতকাল রবিবার এমসি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সালেহ আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী আমাদেরকে বিষয়টি জানায়নি। ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে আমরা হয়রানির ঘটনাটি পুলিশকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
একইসাথে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশের ক্ষেত্রে এন্ট্রি খাতায় শিক্ষার্থীদের নাম-পরিচয় লিখলেই চলবে, মোবাইল নম্বর দিতে হবে না। তবে শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশের ক্ষেত্রে নম্বর দিতে হবে।’
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর