সিলেটে ঘোষিত ৭২ ঘণ্টা শেষ হওয়ার আগেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক সংগঠনের নেতৃৃবৃন্দ। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে এ ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তারা।
এদিকে, একদিকে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের কর্মবিরতি, অপরদিকে গণপরিবহন ধর্মঘটের গত দুদিন ধরে সীমাহীন দুর্ভোগে ছিলেন মানুষজন। এর মধ্যে ৬৩ ঘণ্টা পর একটি ধর্মঘট প্রত্যাহার হওয়ায় সিলেটে জনমনে নেমে এসেছে স্বস্তি।
ধর্মঘট প্রত্যাহারের খবরে তাৎক্ষণিক অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে নগরীর বন্দরবাজার থেকে আম্বরখানা যাওয়ার পথে এক অটোরিকশাযাত্রী জানান, ‘কী যে শান্তি লাগছে ভাই খবরটি শুনে- তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। সেই তো সমাধান হলো, তো সেটি দুদিন আগে হলে সমস্যা কী ছিলো? তা হলে তো আমাদের মতো সাধারণ মানুষরা চরম দুর্ভোগের কবল থেকে বেঁচে যেত।’
সিএনজি অটোরিকশা ধর্মঘট কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি. নং-চট্ট-৭০৭ ও সিলেট জেলা অটোরিকশা/অটোটেম্পু শ্রমিক জোট রেজি. নং-চট্ট-২০৯৭-এর সমন্বয়ে গঠিত ঐক্য পরিষদ। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন পরিষদ নেতৃবৃন্দ।
ফলে বুধবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে নগরীসহ সিলেটের বিভিন্ন রাস্তায় সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতে শুরু করেছে।
গ্রিল সংযোজনের সিদ্ধান্ত বাতিল ও ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোবাইক, মটরবাইক, মিশুক ও প্রাইভেট গাড়ি দ্বারা যাত্রী পরিবহন বন্ধসহ ৫ দফা দাবিতে গত সোমবার (২১ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে সিলেট জেলায় শুরু হয় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ধর্মঘট। মঙ্গলবার ভোর থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টার এ কর্মবিরতির ডাক দেয় সিলেট জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি. নং-চট্ট-৭০৭ ও সিলেট জেলা অটোরিকশা/অটোটেম্পু শ্রমিক জোট রেজি. নং-চট্ট-২০৯৭-এর সমন্বয়ে গঠিত ঐক্য পরিষদ।
৪৮ ঘণ্টা শেষে তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় ধর্মঘটের মেয়াদ বাড়িয়ে ৭২ ঘণ্টা করে। ফলে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত অটোরিকশা সিলেটের রাস্তায় চলবে না বলে ঘোষণা দেন তারা। তবে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত একটি জরুরি বৈঠকে দাবিগুলো পূরণের আশ্বাস পাওয়ায় অটোরিকশা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ