আজ ৩১ ডিসেম্বর। আগামীকাল ১ জানুয়ারি থেকে সিলেট নগরীর বন্দরবাজার-চৌহাট্টা সড়কে বন্ধ হচ্ছে রিকশাসহ কয়েক ধরনের যানবাহন চলাচল। নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারকে যানজটমুক্ত করা ও এ রাস্তায় নগরবাসীর স্বাচ্ছন্দ্য চলাচলের সুবিধার্থে রিকশা বন্ধের উদ্যোগে নিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
তবে এতে বেঁকে বসেছেন রিকশাচালক ও মালিকরা। সিসিকের এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে গত ২৮ ডিসেম্বর নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন রিকশাচালক ও মালিকরা। আর আজ বৃহস্পতিবার মানববন্ধনের আয়োজন করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নগরীর জিতু মিয়ার পয়েন্টে রিকশাচালক ও মালিকরা সিসিকের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এসময় বক্তারা বলেন, সিলেট সিটি কর্তৃপক্ষ বন্দরবাজার-চৌহাট্টা সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। অনতিবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় রিকশা মালিক-শ্রমিক ঐক্যবদ্ধ হয়ে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
সিলেটের প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার ছুয়ে যাওয়া কোর্ট পয়েন্ট-চৌহাট্টা-আম্বরখানা সড়কটি যানজটমুক্ত ও দৃষ্টিনন্দন করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সিলেট সিটি করর্পোরেশ। এরই ধারাবাহিকতায় এ সড়কের মধ্যখানে ডিভাইডার দিয়ে সেখানে বসানো শুরু হয়েছে ৭ ফিট উচ্চতার কারুকাজ করা গ্রিল। পাশাপাশি ডিভাইডারে লাগানো হচ্ছে গাঁদা ফুল।
এর আগে দু'পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটি সরিয়ে খুঁটি ও তারের জঞ্জালবিহীন করা হয়েছে সড়কটিকে। শুধু ডিভাইরাডারে খুঁটি রাখা হয়েছে ইমার্জেন্সি বিদ্যুৎ লাইনের জন্য। বৈদ্যুতিক তারসহ বাকি সব কেবল লাইন নেয়া হয়েছে মাটির নিচ দিয়ে। তাই দিন যতই যাচ্ছে সড়কটির সৌন্দর্য বাড়ছে এবং আকর্ষিত করছে এ সড়কে চলাচালকারী জনসাধারণ এবং নগরবাসীকে।
এদিকে সড়কটিকে ব্যতিক্রমী করার উদ্যোগ হিসেবে বন্ধ করা হচ্ছে রিকশাসহ কয়েকটি গাড়ির চলাচল। আগামী বছরের প্রথম দিন- অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে কোর্ট পয়েন্ট থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত রিকশা, ঠেলা, ভ্যানগাড়ি ও লেগুনা চলাচল বন্ধ করছে সিসিক।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ইতোমধ্যে একাধিক দিন নগরীতে মাইকিং করা হয়েছে এবং গত সপ্তাহে এ সড়কে নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ডও গেড়ে দেয়া হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে বেঁকে বসেছেন সিলেট জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি. নং চট্ট-১৬৬৯-এর অন্তর্ভুক্ত নগরীর রিকশাচালক ও মালিকরা। তারা সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলন। সিসিক এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে নগরীর রিকশাচালক ও মালিকরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত