সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদ নিয়ে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় পরিবহন শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এই পরোয়ানা জারির পর সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর উপর খেপেছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
সোমবার সভা করে তারা মেয়রকে ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার না করলে ২১ নভেম্বর থেকে তারা টানা কর্মবিরতি পালনের হুমকি দিয়েছেন।
সোমবার সিলেট জেলা বাস মিনিবাস মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভা থেকে এই হুমকি দেন সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম।
সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার স্ট্যান্ড উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের শ্রমিক-কর্মচারীদের সাথে সংঘর্ষ হয় পরিবহন শ্রমিকদের। এ সময় বেশ কিছু প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়। হামলায় পুলিশ সদস্য ও সিসিক কাউন্সিলরসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। এরমধ্যে অস্ত্র আইন ও পুলিশ এসল্টের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে দুটি মামলা করে। এছাড়া কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধরের ঘটনায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা বাদি হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এসব মামলায় ২৮ জন পরিবহন শ্রমিকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা তিনশতাধিক জনকে আসামি করা হয়।
মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবিতে পরবর্তীতে সিলেট বিভাগে টানা ধর্মঘটের ডাক দেন পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংঘর্ষের ঘটনার দুদিন পর ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে নগরভবনে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র-কাউন্সিলর ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ সিলেটের বিশিষ্টজনের সঙ্গে শ্রমিক নেতাদের বৈঠক শেষে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। ওই সভায় সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাগুলো প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও মামলাগুলো প্রত্যাহার না হওয়ায় আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিক নেতারা।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন