ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীরা সিলেটজুড়ে আওয়ামী লীগের জন্য ‘মাথাব্যথার’ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলেরই অন্য কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। এতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের জয় পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। দল থেকে বহিষ্কারের মতো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েও বিদ্রোহী প্রার্থীদের দমাতে পারছে না আওয়ামী লীগ।
গত ১১ নভেম্বর দেশে দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিলেটের ৪৪টি ইউনিয়নও ছিল। এর মধ্যে একটি ইউনিয়নে গণ্ডগোলের কারণে ফলাফল স্থগিত হয়। বাকি ৪৩টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা ১৯টিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয় পান ১০টিতে। বাকিগুলোর মধ্যে ১টিতে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী, ২টিতে জামায়াতের প্রার্থী এবং ১১টিতে বিএনপি নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন।
দেশে তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন আগামী ২৮ নভেম্বর। এ ধাপে সিলেট বিভাগের ৭৭টি ইউপি রয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলার ১৬টি, সুনামগঞ্জের ১৭টি, মৌলভীবাজারের ২৩টি এবং হবিগঞ্জ জেলার ২১টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হবে।
এ ধাপে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৮৪ জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১৪ জন, সুনামগঞ্জে ২৮ জন, মৌলভীবাজারে ২৪ জন এবং হবিগঞ্জে ১৮ জন বিদ্রোহী লড়ছেন।
বিদ্রোহীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘যে বা যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন, তাদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছি আমরা। তারা সরে না গেলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এদিকে, দলীয় সিদ্ধান্তের বিপক্ষে গিয়ে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, তাদেরকে বহিষ্কারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে যে ৯ জন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, তাদেরকে গতকাল বুধবার বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল করা হয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আ স ম কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা