জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত করে এলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের নেতারা। শনিবার (২০ নভেম্বর) কমিটির সকল নেতা মিলে বঙ্গবন্ধুর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জিয়ারত করে বিকেলে সিলেটের উদ্দেশে রওয়ানা দেন তারা।
তবে দাওয়াত দিয়েও টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার সময় সাথে নেওয়া হয়নি কমিটির উপদেষ্টাদের। যাত্রালগ্নে তাদেরকে তোলা হয়নি গাড়িতে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ উপদেষ্টারা শুক্রবার রাতেই জরুরি বৈঠকে বসেন। খবর পেয়ে তাদের সাথে কথা বলে শান্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারতের লক্ষ্যে শুক্রবার সকালে সিলেট থেকে রওনা হন মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির নেতারা। কবর জিয়ারতে যাওয়ার জন্য দাওয়াত দেয়া হয় মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাদেরও। তাদের কাছ থেকে যাতায়াত খরচ বাবত ১০ হাজার টাকা করে ফিও নেয়া হয়।
শুক্রবার সকালে উপদেষ্টামন্ডলীর তিনজন সদস্য টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার জন্য গাড়িতে ওঠতে যান। এসময় তাদেরকে নামিয়ে দেন মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। তাদেরকে সাথে নেয়া যাবে না বলে জানান তারা। ফিরিয়ে দেয়া হয় তাদের টাকাও। এতে অপমানবোধ করে রাতেই জরুরি বৈঠক ডাকেন উপদেষ্টারা।
গাড়িতে যেসব উপদেষ্টাদের উঠতে দেয়া হয়নি তাদের মধ্যে একজন এনাম উদ্দিন। তিনি জানান, ‘টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারতের জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের সকল উপদেষ্টাকে দাওয়াত দেয়া হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে ফিও নেয়া হয়। শুক্রবার সকালে উপদেষ্টাদের মধ্যে তিনি, অ্যাডভোকেট আবদুল মালিক ও কানাই দত্ত গাড়িতে ওঠতে যান। এসময় তাদেরকে গাড়িতে ওঠতে দেয়া হয়নি। জানানো হয়- তাদেরকে সাথে নেয়া যাবে না। দাওয়াত দিয়ে কী কারণে নেয়া যাবে না, সেটাও বলেননি নেতারা। এসময় তাদের কাছ থেকে নেয়া ফিও ফিরিয়ে দেয়া হয়। এই খবর পেয়ে অন্য উপদেষ্টারা আর আসেননি।’
এনাম উদ্দিন আরও জানান, ‘কার্যনির্বাহী কমিটির শীর্ষ নেতাদের এমন আচরণে চরম অপমানবোধ করেছেন উপদেষ্টারা। তাই শুক্রবার রাতে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকের খবর পেয়ে উপদেষ্টাদের সাথে ফোনে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। বিষয়টি তিনি দেখছেন- এমন আশ্বাসের প্রেক্ষিতে উপদেষ্টারা শান্ত হন।’
উপদেষ্টাদের রেখে যাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন শনিবার রাতে বলেন, ‘এটি দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে কিছু বলা যাবে না।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল