ভয়াবহ করোনাভাইরাস থেকে সিলেটে স্কুলের শিক্ষার্থীদের ‘সুরক্ষিত’ করতে তাদেরকে ভ্যাকসিন (টিকা) প্রদান শুরু হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে সিলেট মহানগরীর চারটি স্কুলে এই ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিন ২ হাজার ১২১ জন শিক্ষার্থীকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ফাইজারের টিকা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাথমিক অবস্থায় সিলেটের ২৫ হাজার স্কুলশিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ ধাপে সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, ব্লু-বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এবং পুলিশ লাইনস হাইস্কুলে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৬৩ জন ছাত্রী, সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৮০ জন ছাত্র, ব্লু-বার্ড স্কুলে ২৪৩ জন ছাত্র ও ২৩০ জন ছাত্রী এবং পুলিশ লাইন স্কুলে ২০২ জন ছাত্র ও ৩০৩ জন ছাত্রীকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ স্কুলে গিয়ে উৎসবমূখর পরিবেশে ভ্যাকসিন নেন। ভ্যাকসিন নেয়ার আগে কেউ কেউ কিছুটা ভয়ে থাকলেও পরে তাদেরকে বেশ উৎফুল্ল দেখা গেছে। আর অনেকে বেশ আগ্রহ নিয়েই ভ্যাকসিন নেন। স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকবেন বলে আশাপ্রকাশ করেন তারা।
সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার থেকে ১২ হতে ১৭ বছর বয়সী স্কুলশিক্ষার্থীদের ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রদান করা হচ্ছে। চারটি স্কুলে প্রতিদিন ৬০০ করে ২৪শ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। প্রথমে তিন দিনের একটি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এরপর শিক্ষা অফিসের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। তবে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ২৫ হাজার ৬শ’ শিক্ষর্থীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন