সিলেটের গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ি ইউনিয়নের বৈটিকরে নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রিকশা গ্যারেজের মেকানিক আবদুস সালাম নিহত ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
সোমবার রাতে গোলাপগঞ্জ থানার এসআই মহরম আলী বাদী হয়ে ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ ৪শ’ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে, গ্রেফতার আতঙ্কে বৈটিকর বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলার রফিপুর দক্ষিণ মাইজভাগ গ্রামের তোয়ারিছ আলীর ছেলে ফলিক আহমদ (৩০), রনকেলী দিঘীরপার গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে মিরন আহমদ (২৮), ফুলবাড়ি টিকরপাড়া গ্রামের মস্তুর আলির ছেলে আব্দুর রহিম (৩৮) ও একই গ্রামের শফিক আহমদের ছেলে কামরান।
গোলাপগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশীদ চৌধুরী জানান, পুলিশের মামলায় পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী, জামায়াত নেতা এমরান হোসেনসহ ৩০ জনকে এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাত আরো বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে মামলায়। ইতোমধ্যে আটক ৪ জনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত রবিবার চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ শেষে দুটি কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জামায়াত নেতা এমরান হোসেন ও তার সমর্থকেরা। রাত আটটার দিকে এমরানের সমর্থকেরা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের বৈটিকর এলাকায় বিক্ষোভ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে রিকশা মেকানিক আবদুস সালাম মারা যান। নিহত আবদুস সালাম উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণভাগ রামপা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বৈটিকর বাজারে সাইকেল ও রিকশা মেরামতের দোকান চালাতেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন