আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে সারাদেশ। এতে ট্রেন ও রেললাইনে নানাবিধ নাশকতার আশংকায় রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও রেল স্টেশনসহ রেলের উল্লেখযোগ্য স্থানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রশাসন। এ বিষয়ে আজ পূর্বাঞ্চলের হেড কোর্য়াটার চট্টগ্রামের সিআরবিতে আইন-শৃংখলা বিষয়ক জরুরী বৈঠকও করেছেন রেলওয়ে প্রশাসন।
এতে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি), জিআরপি পুলিশ, রেল প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া ট্রেন চলাচলের সময়ও চালকের সাথে পুলিশ, আরএনবির লোকজন থাকবেন এবং দায়িত্বশীল রেল কর্মকর্তারা কঠোর নজরদারিতে প্রতিনিয়ত মনিটরিং এ থাকবেন। একই সাথে রেলওয়ে শ্রমিকলীগের চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দরাও সারাদেশের রেললাইনে ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষায় মাঠে থাকবেন বলেও জানান রেল শ্রমিকলীগ নেতারা।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, চট্টগ্রাম, বিমানবন্দর ও কমলাপুর রেল ষ্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ সব স্টেশন ও আশপাশের এলাকাগুলো নিরাপত্তাহীনতায় থাকার আশংকা রয়েছে। এ কারণে ট্রেনে ও রেল লাইনে নাশকতা ঠেকাতে ট্রেন চালকের সঙ্গে ইঞ্জিন কক্ষে দুজন করে সশস্ত্র পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) প্রকৌশলী মো. আবদুল হাই বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রেলওয়ের চট্টগ্রাম, বিমানবন্দর, কমলাপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ ষ্টেশন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করতে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী এবং রেলওয়ে পুলিশসহ প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করছে। বিভিন্ন নাশকতায় আশংকায় ইতিমধ্যে কঠোর নজরদারিতে রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে স্ব স্ব দায়িত্বশীলদের।
রেলওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রেললাইন ও ট্রেন চলাচলে কোন ধরণের নাশকতা না হয় সেই বিষয়ে নজরদারিতে রয়েছে। চট্টগ্রাম রেলষ্টেশনসহ রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় জিআরপি, আরএনবিসহ প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা মাঠে থাকবেন। এতে ট্রেনে আগুন দেওয়া, রেললাইন উপড়ে ফেলা বা এ ধরনের নাশকতামূলক কর্মকান্ড দেখলে সশস্ত্র পুলিশ দুষ্কৃতকারীদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
জিআরপি চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রশাসেনর নির্দেশনা মোতাবেক ইতিমধ্যে মনিটরিং চলছে। তবে এর আগে ট্রেনে ও রেললাইনে নাশকতা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়ার মামলার নিয়মতান্ত্রিক রায়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপিসহ একটি চক্র নাশকতায় লিপ্ত হতে পারে। অতীতেও ট্রেনে অগ্নিকান্ডসহ নানাবিধ নাশকতা করেছিল। এবার এ আশংকায় প্রশাসনের পাশাপাশি রেল শ্রমিকলীগের নেতা-কর্মীরা প্রতিরোধে মাঠে থাকবেন ৮ ফেব্রুয়ারি। সকালে সমাবেশ হবে চট্টগ্রাম রেল ষ্টেশনে। প্রতিটি শাখার নেতা-কর্মীরা রেল লাইন, ট্রেন চলাচল ও স্থাপনাগুলোর বিষয়েও নজরদারিতে রাখা হবে। তবে কারা এসব নাশকতা করছে সেই বিষয়েও সজাগ থাকবে শ্রমিকলীগের নেতা-কর্মীরা।
বিডি প্রতিদিন/৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/হিমেল