চট্টগ্রামের একুশে বইমেলার তারুণ্য উৎসবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মানে দৃঢ় প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়েছে। এতে বক্তরা বলেন, বাংলাদেশের অদম্য অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে অশুভ শক্তির ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।
ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, গলতান্ত্রিক আন্দোলনকারীদের আত্মত্যাগকারীদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয় তারুণ্য উৎসবে। চট্টগ্রামের একুশে বইমেলায় বর্ধিত দুই দিনের প্রথম দিনে শুক্রবার 'তারুণ্য উৎসব' অনুষ্ঠিত হয়।
যেহেতু ভাষা আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামকে পল্লবিত করে সেহেতু একুশ মেলার বর্ধিত এই দুই দিনে মেলামঞ্চে মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা বিষয়ক আলোচনা হচ্ছে।
শুক্রবার ছুটির দিনে বিকাল ৪টায় 'মুক্তিযুদ্ধ, অদম্য বাংলাদেশ: তারুণ্যের ভাবনা' শীর্ষক আলোচনা, আবৃত্তি ও ছড়াপাঠ এবং যাদু প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
মেলার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সঞ্চালনায় তারুণ্য উৎসবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)'র প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ও মেলার সদস্য সচিব প্রফেসর সুমন বড়ুয়া।
বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক মুক্তিযোদ্ধ আবু সাঈদ সরদার, মুক্তিযোদ্ধা ও মেলার সাংস্কৃতিক উপ পরিষদের আহ্বায়ক দেওয়ান মাকসুদ আহমেদ,চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন দেবনাথ, চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার সুশান্ত পাল, চট্টগ্রাম টিচার্স ট্রেনিং কলেজ প্রশিক্ষক অধ্যাপক শামসুদ্দিন শিশির, যুবনেতা ওয়াহিদুল আলম শিমুল, মিথুন মল্লিক, ছাত্রনেতা ইয়াসির আরাফাত, এহসান আল কুতুবী প্রমুখ।
যাদু পরিবেশন করেন যাদুশিল্পী রাজিব বসাক। আবৃত্তি করেন জাভেদ হোসেন, শ্রাবণী দাশগুপ্তা, হোসনে আরা তারিন, লুবাবা ফেরদৌসি সায়কা, রীমা দাশ, প্রযুক্তি প্রেরণা চৌধুরী, ইন্দু প্রভা।
নিজের লেখা থেকে পাঠ ও ছড়াপাঠ করেন পশ্চিম বঙ্গের সঞ্চিতা সেনগুপ্ত, আ ফ ম মোদাচ্ছের আলী, ইয়াকুব সৈয়দ, গোফরান উদ্দিন টিটু, সৈয়দা সেলিমা আকতার, ওবায়দুল সমীর, ফারজানা রহমান শিমু, রমজান আলী মামুন, চৌধুরী আহসান খুররাম, সীতাংশু কর, জনী বড়ুয়া, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, রাজীব রাহুল, তানজীনা ইসলাম মীম প্রমুখ।
এদিকে, আজ বিকাল ৪টায় পেশাজীবী সম্মিলনে 'মুক্তিচেতনা : ভাষাআন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও প্রগতির পদযাত্রা' শীর্ষক আলোচনা, কবিতা ও ছড়াপাঠ হবে। পাঠক লেখক, প্রকাশকসহ আগ্রহীদের আজকের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এবারই প্রথম চট্টগ্রামে সম্মিলিত বইমেলা আয়োজন করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। আজ মেলায় পাঠক এবং বই প্রেমীদের উল্লেখ্যোগ্য উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং স্টল মালিকরা আজ বই বিক্রির কােণে তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
প্রাকৃতিক প্রতিকূলতায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রকাশক, লেখক ও পাঠকদের কথা বিবেচনা করে মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ১ মার্চ শুক্রবার থেকে ২ মার্চ শনিবার পর্যন্ত মেলার সময় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দেন।
বিডি প্রতিদিন/০১ মার্চ ২০১৯/আরাফাত