হালদা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ড্রেজার চলাচলের কারণে নদীতে অবাধে মা মাছ মারা পড়ছে। গতকাল সোমবার নদী থেকে দুইটি মরা মাছ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হালদা রিভার্স রিচার্স ল্যাবরেটরি’তে প্রেরণ করেছে বেসরকারী সংস্থা আইডিএফ'র লোকজন।
উদ্ধারকৃত মাছ দুইটির মধ্যে একটি ১২ কেজি ওজনের কাতলা ও অপরটি ৪ কেজি ওজনের আইড় মাছ রয়েছে। মাছ দুইটিতে ড্রেজারের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হালদা নদীতে কাজ করা সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (আইডিএফ) লোকজন এগুলো উদ্ধার করে।
একই সঙ্গে তারা নদী থেকে অবাধে মাছ শিকারের অপরাধে ১০ হাজার মিটার ভাসা ও ঘের জালও জব্দ করে। আগামী এপ্রিল মাস হচ্ছে হালদা নদীতে রুই জাতীয় (রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউশ) মাছের প্রজননের সময়। এ সময়ে বালি পরিবহনকৃত ড্রেজার চলাচলের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে হালদা।
আইডিএফ’র হালদা প্রকল্পের কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন বলেন, হালদা নদীতে সারাবছর ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। এরপরও নদীতে অবাধে চলাচল করছে বালুবাহী ড্রেজার। ড্রেজারের আঘাতে সোমবার হালদা নদীর রাউজানের অংকুরীঘোনা এলাকায় ১২ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ এবং হাটহাজারীর উত্তর মাদার্শার আমতোয়া এলাকায় ৪ কেজি ওজনের একটি আইড় মাছ মারা যায়। এ দুইটি মাছ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হালদা রিভার্স রিচার্স ল্যাবরেটরি’তে প্রেরণ করা হয়েছে। তাছাড়া হালদার মোহনা, ছায়ারচর ও মদুনাঘাট এলাকা থেকে প্রায় ১০ হাজার মিটার ভাসা ও ঘের জাল জব্দ করে। এরপর এগুলো উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হালদা রিভার্স রিচার্স ল্যাবরেটরি’র সমন্বয়ক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর মো. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হালদা নদীতে অবাধে ড্রেজার চলাচলের কারণে মা মাছ মারা পড়ছে। গতকাল সোমবার হালদা নদী থেকে উদ্ধার করে একটি ১২ কেজি ওজনের কাতলা ও একটি ৪ কেজি ওজনের আইড় মাছ ‘হালদা রিভার্স রিচার্স ল্যাবরেটরি’তে হস্তান্তর করে আইডিএফ’র লোকজন। এ দুইটি মাছ ড্রেজারের আঘাতে মারা যায়। মাছের গায়ে ড্রেজারের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর