চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা সিমেন্ট-এর আয়োজনে নির্মাণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার জোরারগঞ্জ বাজারের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ‘শৈল্পিক নির্মাণ, রাজমিস্ত্রির অবদান’ শীর্ষক কর্মশালায় শতাধিক স্থানীয় ঠিকাদার ও রাজমিস্ত্রি অংশগ্রহণ করেন।
বসুন্ধরা সিমেন্ট চট্টগ্রাম উত্তরের এরিয়া ম্যানেজার মো. মামুন খানের সঞ্চালনায় ও বসুন্ধরা সিমেন্টের পরিবেশক বারইয়ারহাট মক্কা স্টিল করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী মনসুর আহমেদ মুজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বসুন্ধরা সিমেন্টের চট্টগ্রাম উইং হেড মোহাম্মদ আলী খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বারইয়ারহাট পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সমর মজুমদার, মিরসরাই উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বসুন্ধরা সিমেন্টের চট্টগ্রাম জেলা বিক্রয় কর্মকর্তা এস এম মামুন চৌধুরী, প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন।
অনুষ্ঠানে নির্মাণ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঠিকাদার ও রাজমিস্ত্রিদের প্রশিক্ষণ দেন ইঞ্জিনিয়ার মারুফ বিল্লাহ ও ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান। আলোচনা সভা শেষে ঠিকাদার ও রাজমিস্ত্রিদের অংশগ্রহণে র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ড্র শেষে অতিথিরা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
প্রধান অতিথি মোহাম্মদ আলী খান বলেন, ‘ভবন নির্মাণে রাজমিস্ত্রিদের গুরুত্ব অনন্য। ভবন নির্মাণে ইট, বালু, পাথর, সিমেন্ট যেমন প্রয়োজন, তেমনি নির্মাণকাজের গুণগত মান ঠিক রাখতে প্রশিক্ষিত রাজমিস্ত্রিও প্রয়োজন। টেকসই অবকাঠামো নির্মাণে প্রশিক্ষিত রাজমিস্ত্রির বিকল্প নেই। রাজমিস্ত্রিদের শ্রমের বিনিময়ে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। তবে বর্তমানে তারা নানাভাবে অবহেলিত। তাই রাজমিস্ত্রিদের প্রশিক্ষিত করতে বসুন্ধরা সিমেন্ট বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাছাড়া কর্মক্ষেত্রে কোন রাজমিস্ত্রি যদি হতাহত হন তাহলে তাদের চিকিৎসার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ সবসময় পাশে থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বড় বড় প্রকল্পগুলো নির্মাণে বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী শহর অংশে ৬ লেইনবিশিষ্ট ফ্লাইওভারও বসুন্ধরা সিমেন্ট দিয়ে নির্মিত হয়েছে।’
প্রধান অতিথি বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে যেসব সিমেন্ট রয়েছে তার মধ্যে বসুন্ধরা সিমেন্ট গুণগত মানের দিক থেকে অনেক উন্নত। বাংলাদেশের বিদ্যমান সিমেন্টগুলো ৩ হাজার ৭৫০ পিএসআই হলেও বসুন্ধরা সিমেন্ট ৫ হাজার ৭০০ পিএসআই এ তৈরি। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেই বসুন্ধরা সিমেন্ট তৈরি হয়, যা বাংলাদেশী ব্র্যান্ড। যেখানে হাজারো বেকার লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে বসুন্ধরা সিমেন্ট অন্যতম অংশীদার।’
বারইয়ারহাট পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সমর মজুমদার বলেন, ইঞ্জিনিয়াররা ভবনের নকশা প্রণয়ন এবং কাজের তদারকি করেন। কিন্তু ভবন তৈরিতে মূল ভূমিকা রাখেন রাজমিস্ত্রিরা। তাই কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে তাদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। কাজের সময় রাজমিস্ত্রি ও সহকারীদের নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করা জরুরি।’
মিরসরাই উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বাজারের বিদ্যমান সিমেন্টের মধ্যে বসুন্ধরা সিমেন্ট গুণগত মানের দিক দিয়ে অনেক উন্নত। টেকসই নির্মাণে বসুন্ধরা সিমেন্টের বিকল্প নেই।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার