বাজুস নির্বাচন (২০২১-২৩) বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেছেন, নতুন দিগন্তের সূচনা হতে যাচ্ছে দেশের জুয়েলারি শিল্পে। এক সময় এ খাতে আমাদের ঐতিহ্য ছিল।
স্বর্ণনীতি না থাকায় বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণ নীতিমালা দিয়েছেন, আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই।
রবিবার দুপুরে নগরের জিইসির বনজৌর রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) চট্টগ্রাম জেলা শাখার নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, ১২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছেন বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর। গোল্ড রিফাইনারি করছেন দেশে। আমাদের স্বর্ণালঙ্কার রফতানি হবে সারা বিশ্বে। জুয়েলারি শিল্পে বিপ্লব ঘটাতে চান তিনি। হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চান তিনি।
বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট গুলজার আহমেদ বলেন, আমরা ব্যবসায়ী। আমাদের সমিতির নির্বাচনে হার-জিত থাকবে। যারা নির্বাচিত হননি তাদের অবহেলা করবেন না। সম্ভব হলে তাদের বাসায় মিষ্টি পাঠাবেন। নির্বাচন হচ্ছে প্রতিযোগিতা। সব ভোটারকে সম্মান করবেন। এ পরিবারকে বন্ধনে রাখতে পারলে অপরিসীম সুযোগ আসবে।
তিনি বলেন, আমাদের নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট ভেদাভেদ পছন্দ করেন না। ঢাকার দু'পক্ষকে নিয়ে কমিটি করেছেন। বাকি ৩৫ জনকে নিয়ে স্ট্যান্ডিং করবেন বলে জানিয়েছেন। ঢাকা থেকে নির্দেশনা আসবে, চট্টগ্রাম শাখাও বড় হবে। আমাদের প্রেসিডেন্ট চান, সবাই এক হবেন। কেউ কারও পেছনে লাগবেন না। পেছনে লাগলে পুরো সেক্টরের ক্ষতি হয়। তিনি চান ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবেন, তিনি দায়িত্ব নেবেন। কাজ করতে না পারলে তার কাছে দাম নেই। তিনি চান স্বর্ণালঙ্কার রফতানি হবে বাংলাদেশ থেকে।
ভাইস প্রেসিডেন্ট আনোয়ার হোসেন বলেন, ঢাকার পরেই চট্টগ্রামের স্থান। দেশের নিউইয়র্ক হচ্ছে চট্টগ্রাম। আমরা নতুন ডায়নামিক প্রেসিডেন্ট পেয়েছি সায়েম সোবহান আনভীরকে। আমাদের সিদ্ধান্ত, বৈধ ব্যবসায়ীদের কোনও জ্বালাতন করতে পারবে না। জুয়েলারি সমিতির সদস্য ছাড়া কেউ ডিলিং লাইসেন্স পাবে না।সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে চাই। উপজেলায়ও সমিতির শাখা করতে চাই। সবাইকে এক ছাতার নিচে আনতে চাই। বাংলাদেশের সামনে বিশাল সম্ভাবনা। আমাদের জুয়েলারির চাহিদা সারা বিশ্বে। আমাদের হাতের কাজের ডিজাইন বিশ্ববাজারে তুলে ধরতে হবে। বসুন্ধরা শপিংমলে বিশাল অফিস হয়েছে সমিতির। বার তৈরি হবে বাংলাদেশে। পৃথিবীতে সেরা স্বর্ণকাররা বাংলাদেশের, যারা হাতের কাজে সেরা। তিনি বাজুস চট্টগ্রাম শাখার পাশে থাকার ঘোষণা দেন।
বাজুস চট্টগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মানিক বলেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আহ্বায়ক কমিটি দায়িত্ব নিয়েছিল। সদস্যদের অংশগ্রহণে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। চেষ্টা করেছি সব দোষ আমার কাঁধে নিয়ে সুন্দর নির্বাচন করতে। বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের ইচ্ছে, সব স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সমিতির সদস্য করা। আপনারা সদস্য বাড়াবেন। সদস্যদের কল্যাণে কাজ করবেন।
বাজুস চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রণব সাহা দায়িত্ব পালনকালে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
সাবেক সভাপতি নুরুল আবছার বলেন, অনেক দিন পর নির্বাচন। সমিতির যে কোনও সদস্যকে তাৎক্ষণিক সহযোগিতা করবে এই কমিটি। বাজুসের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। যখনই কমিটির নেতারা সহযোগিতা চাইবেন আমরা এগিয়ে আসবো।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাজুস চট্টগ্রাম জেলা শাখার নবনির্বাচিত সভাপতি মৃণাল কান্তি ধর। বক্তব্য দেন সহ সম্পাদক কাজল বণিক। সভা পরিচালনা করেন যুগ্ম সম্পাদক হিরন্ময় ধর।