আবারও বাড়ছে করোনা পরিস্থিতি। ঊর্ধ্বগতিতে ছুটতে থাকা সেই করোনা পরিস্থিতি চট্টগ্রামের কিছুটা হলেও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৪২৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭০৪ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এতে সংক্রমণের হার ২৯ দশমিক ০৫ শতাংশ ছিল। তবে এসময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেনি কেউ। তাছাড়া আগের দিন হাজারের ওপরে শনাক্তের পর সেটি নেমে এসেছে ৭০৪ জনে। গত ২৪ ঘণ্টার শনাক্তদের মধ্যে ৫৩১ জন চট্টগ্রাম নগরীর এবং ১৭৩ জন জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত কিছুটা কমেছে। আগের দিন হাজারের উপরে থাকলেও কমে এসেছে হাজারের নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার ২৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। ৭০৪ জন শনাক্তদের মধ্যে ৫৩১ জন চট্টগ্রাম নগরীর এবং ১৭৩ জন জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা রয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সিভিল সার্জনসহ সকলেই আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এক্সিকিউটিভ কমিটির (ইসি) সেক্রেটারী অধ্যাপক ডা. মুসলিম উদ্দিন সবুজ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে করোনার সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। চট্টগ্রাম নগরীসহ জেলার প্রতিটি এলাকায় করোনার সর্তকতায় আছেন সকলেই। তিনি বলেন, আমার হাসপাতালে বর্তমানে ১০ জন করোনা রোগী থাকলেও প্রতিদিনই করোনার সিমটম নিয়ে অনেকেই আসছেন। এতে চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি করোনা বেডও রয়েছে প্রস্তুত। এতে সেন্ট্রাল অক্সিজেনসহ ১৫০ জনের মতো করোনা রোগীর সেবা দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। তবে সরকারের নির্দেশনায় সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ বিভিন্ন তৎপরতায় কাজও চলছে। তবে সরকারের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আক্রান্তও কমে আসবে বলে জানান তিনি।
শনিবার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে আরো জানা গেছে, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামে এখনও পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৯৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর বাসিন্দা ৮০ হাজার ৩৬২ জন। বাকি ২৯ হাজার ৭৩৫ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৭২৮ জন নগরীর এবং বিভিন্ন উপজেলায় মৃত্যু হয়েছে ৬১৫ জনের।
আরো জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন ল্যাবে দুই হাজার ৪২৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭০৪ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়। এসময় ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ল্যাবে ১৭১ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৬৭ জন, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৬০ জন, শেভরন হাসপাতাল ১৬৩ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৫৮ জন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৩২ জন এবং এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৫৩ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তাছাড়া উপজেলায় শনাক্ত ১৭৩ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে সর্বাধিক ৩৪ জন রয়েছেন। এছাড়া, ফটিকছড়িতে ২৮ জন, আনোয়ারায় ২৭ জন, রাউজানে ২৩ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ১৬ জন, মিরসরাইয়ে ১০ জন, চন্দনাইশে ৮ জন, বোয়ালখালীতে ৭ জন, সাতকানিয়া ও পটিয়াতে ৬ জন করে, লোহাগাড়ায় ৩ জন, সন্দ্বীপ ও বাঁশখালীতে ২ জন করে এবং সীতাকুন্ডে ১ জন শনাক্ত হয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম