ট্রাফিক পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় চাঁদের গাড়ির ধাক্কায় দুই স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- মিশু আকতার এবং নিশা মনি। এ ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে এবং এক ট্রাফিক পরিদর্শকের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।
প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসের পর অবরোধ প্রত্যাহার করে। বুধবার দুপুরে ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং সিএ-বি মাঠ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা পাইন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নিহত ছাত্রীরা রাস্তা পার হচ্ছিল। এসময় চাঁদের গাড়ির ধাক্কায় তারা নিহত হন। চাঁদের গাড়ির ধাক্কায় দুই ছাত্রী নিহত হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন সড়ক অবরোধ করে। ট্রাফিক পরিদর্শকের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে।’ তিনি বলেন, ‘এখানে ট্রাফিক পরিদর্শকের কোনো দোষ রয়েছে কি না সেটি তদন্ত করা হচ্ছে।’
স্থানীয়দের অভিযোগ- পাইন্দং সিএন্ডবি মোড়ে প্রায় সময় অবস্থান করে চাঁদাবাজি করেন ট্রাফিক পরিদর্শক নিখিল জীবন চাকমা। বুধবার রাইস মিলে ধান নিয়ে যাওয়ার পথে চাঁদের গাড়ি থেকে চাঁদা নেয়ার জন্য থামার সংকেত দেয়। কিন্তু চালক গাড়ি না থামিয়ে পালানোর চেষ্টার সময়ে ছাত্রীদের চাপা দেয়। ফলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর