সিএমপির ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বোমা হামলার ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন মো. সাইফুল্লাহ, মো. এমরান, আবু সালেহ, মো. আলাউদ্দিন, মহিদুল আলম, মো. জহির উদ্দিন, মো. মঈনউদ্দিন, রহমত উল্লাহ, সাহেদ হোসেন, মো. সেলিম, আব্দুল্লাহ আল নোমান, আব্দুল কাইয়ুম, কায়সার উদ্দিন, মো. মোরশেদুল আলম ও মো. শাহজাহানকে।
তাদের মধ্যে দুবাই প্রবাসী মো. শাহজাহান, কায়সার ও মোরশেদ পলাতক রয়েছেন। বুধবার আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দেন সিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
সিএমপি’র পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান বলেন, ‘ পুলিশ বক্সে হামলার ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। আদালতের উপস্থাপনের পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়- ‘ঘটনার দিন মো. সেলিম, আবু সাদেকসহ আরো তিন জঙ্গি নগরের পূর্ব নাসিরাবাদ আপন নিবাস এলাকার একটি ভবনে মো. এমরানের বাসায় আসে। ওইদিন জুমার নামাজের পর কয়েকটি এলাকা রেকি করে তারা। একপর্যায়ে ২ নম্বর গেইট এলাকার পুলিশ বক্স হামলার জন্য নির্দিষ্ট করে। আইইডি বোমা কিভাবে দূর থেকে রিমোট দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে হবে তা প্রশিক্ষণ দিয়ে রিমোটটি এমরানকে দিয়ে যায় সেলিম। পরে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের অগোচরে আইইডিটি পুলিশ বক্সে রেখে যায় আবু সাদেক। এরপর পুলিশ বক্সের অদূরে যাত্রী ছাউনির পাশে দাঁড়িয়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে রিমোট দিয়ে আইইডিটি বিস্ফোরণ ঘটায় সাইফুল্লা।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নগরের দুই নম্বর গেইট ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ কয়েকজন পথচারী আহত হন। ঘটনার পরদিন বিশ্বব্যাপী জঙ্গিগোষ্ঠীর অনলাইন তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ জানিয়েছিল- জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের হামলার পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়ন সবই নব্য জেএমবির। এর সঙ্গে আইএস’র সম্পৃক্ততার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ