চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট নির্মাণের কাজ শুরু করা যাবে।
বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) সকালে বার্ন ইউনিট নির্মাণ-স্থান পরিদর্শন শেষে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চীনা প্রতিনিধি দল এ কথা জানান। পরে চমেক হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে চীনা প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৬ সদস্যের চীনা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের অবৈতনিক উপদেষ্টা ডা. সামন্ত লাল সেন। চমেক হাসপাতালের গোঁয়াছি বাগান এলাকার প্রায় এক একর জমিতে নির্মিত হবে ১৫০ শয্যার বিশেষায়িত এ বার্ন ইউনিট।
চীনা প্রতিনিধি দল জানায়, চলতি মাসেই আনা হবে প্রকল্পের যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র। ডিপিপি অনুমোদন হলেই চীন কতৃপক্ষ কাজ শুরু করবেন। তাছাড়া, প্রতিনিধি দল এখান থেকে ফিরে গিয়ে বার্ন ইউনিটের বিষয়ে নিজ সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেবে। তারপর কাজ শুরু হবে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বার্ন ইউনিট প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। কয়েকদিন আগেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এটা নিয়ে কথা হয়েছে। আগামী সপ্তাহেও জরুরি মিটিং আছে। তাই দ্রুত এ হাসপাতালের কাজ শুরু করা হবে। ইতোমধ্যে তাদের ইকুয়েপমেন্ট-ফার্নিচার নিয়ে আসবে। তিনি বলেন, কাজ শুরুর ২২ মাসের মধ্যে হাসপাতাল তৈরি হবে। আশা করছি দেড় বছরের মধ্যে ভালো কিছু হবে। আমার জীবদ্দশায় যাতে এটা দেখে যেতে পারি।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম হাসান বলেন, হাসপাতাল ভবন, যন্ত্রপাতি-সব চীন দিবে। তবে জনবল আমাদের দিতে হবে। সে অনুযায়ী জনবল কত লাগবে তা পর্যালোচনা করে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) করা হয়েছে। এটি অনুমোদন হলে আশা করছি কাজ শুরু করতে পারবো। চীনা প্রতিনিধি দল চাই, জানুয়ারির দিকে কাজ শুরু করতে। বার্ন ইউনিটের ডিপিপি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন শেষে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পরিকল্পনা মন্ত্রাণালয়ে যাবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
জানা যায়, ২০১২ সালে চমেক হাসপাতালের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ২৬টি শয্যা নিয়ে অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা দেয়া শুরু করে। তবে এটি এখনও স্বয়ং সম্পূর্ণ বার্ন ইউনিটে রূপান্তর হয়নি। নেই অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও আইসিইউ। এবার বার্ন এন্ড সার্জারি ইউনিট নির্মিত হলে চট্টগ্রামের দগ্ধ রোগীরা মানসম্মত চিকিৎসা পাবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ