বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধে নগরে ঝটিকা মিছিল ও পিকেটিং করেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বুধবার এই কর্মসূচির সময় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তারা।
অবরোধ কর্মসূচির বিপরীতে নগরীর ১৯টি পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে মাঠ দখলে রাখার চেষ্টা করেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতারা।
জানা গেছে, তৃতীয় দফা ডাক দেওয়া এই অবরোধের প্রথম দিন সকাল সাতটার দিকে নগরীর টাইগারপাস পাহাড়তলী সড়কে অবস্থান নিয়ে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় তারা একটি টেম্পোতে পাথর ছুঁড়ে মারে। এতে টেম্পোর সামনের কাঁচ ভেঙ্গে যায়। পরে তারা সড়কে গাড়ির টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার আগে বিক্ষোভকারীরা সরে যায়।
খুলশী থানার ওসি রুবেল হাওলাদার জানান, সকালে পাহাড়তলী সড়কে একটি টেম্পোতে পাথর ছুঁড়ে মারার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
অবরোধের সমর্থনে পূর্ব নাসিরাবাদ, ডবলমুরিং, বাকলিয়া এলাকায় ঝটিকা মিছিলের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের লালিয়ারহাট এলাকায়, সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়ার মগপুকুর এলাকাসহ আরও কয়েকটি এলাকায় স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা অবরোধের সমর্থনে মিছিল করেছে।
এদিকে বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার এই কর্মসূচির বিরুদ্ধে দিনভর চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বুধবার সকাল থেকে নগরের গুরুত্বপূর্ণ ১৯টি পয়েন্টে শান্তি সমাবেশ, উন্নয়ন সমাবেশ, মিছিলসহ নানা কর্মসূচি নিয়ে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা।
সকালে নগরের বহদ্দারহাট মোড়ে চান্দগাঁও থানা আওয়ামী লীগের নেতারা অবস্থান নেন। সেখানে স্থানীয় এমপি নোমান আল মাহমুদসহ নগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নৈরাজ্যের প্রতিবাদে নগরের হালিশহর, আগ্রাবাদ, জিইসি, মুরাদপুর, অক্সিজেন, পতেঙ্গা, চকবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে অবরোধ বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। এছাড়া বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ঠেকাতে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে চকবাজার এলাকায় অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি বলেন, আগে ১৫টি স্থানে অবরোধ বিরোধী কর্মসূচি পালিত হতো। এখন সেটা বাড়িয়ে ১৯টি স্পট করা হয়েছে। এছাড়া বুধবার নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে।
এদিকে নগরীর প্রবেশ পথ ও মহাসড়কগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির ডাকা এই কর্মসূচির মধ্যে স্বল্পপাল্লার সকল যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে। এছাড়া মালবাহী যানবাহনগুলো কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখেছে। তবে ঝুঁকি এড়াতে দূর পাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল তুলনামূলক কম বলে জানা গেছে। নাশকতা এড়াতে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল