অস্ত্র মামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্র শিবিরের সাবেক সেক্রেটারি সাইফুদ্দিন ইয়াহ্ইয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম আহমেদ খলিলুর রহমান এ আদেশ দেন। একই মামলার অপর একটি ধারায় তাকে আরও ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত শিবির নেতা সাইফুদ্দিন ইয়াহ্ইয়ার বাড়ি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার চরমীর কামারী গ্রামে। বাবার নাম আব্দুল হামিদ। তিনি ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগে ভর্তি হন। ২০১০ সালে তার সম্মান শেষ হয়। পরে মাস্টার্সে ভর্তি হলেও তা আর শেষ করতে পারেননি। তিনি ২০১২ সালের কাউন্সিলে রাবি শিবিরের সেক্রেটারি নির্বাচিত হন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাত ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব রেলওয়ে কলোনীর সদস্যরা মালোপাড়া এলাকার আল-রহমান হার্ডওয়ার মাকের্টের তৃতীয় তলা থেকে বিদেশি পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসহ তৎকালীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সেক্রেটারি সাইফুদ্দিন ইয়াহ্ইয়াসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় র্যাবের ডিএডি আলতাফ হোসেন বাদি হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিবির নেতা সাইফুদ্দিন ইয়াহ্ইয়াকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি চলতি বছরের ৩ আগস্ট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। সোমবার শুনানি শেষে বিচারক গোলাম আহমেদ খলিলুর রহমান ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৯ (এফ) ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। তবে হাজতকালীন সময় তার সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে।
মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি আইনজীবী এনতাজুল হক বাবু ও আসামি পক্ষে আইনজীবী মিজানুল ইসলাম পরিচালনা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ অক্টোবর, ২০১৫/ রশিদা