১৯৭১ সালের চক্রান্তকারীরাই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন করে জনমতকে তাচ্ছিল্য করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার দলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচি অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ‘১৯৭১-এ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি শত্রুমুক্ত হলেও চক্রান্তকারীদের চক্রান্ত আজো বিদ্যমান। চক্রান্তকারীরা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে গ্রাস করে একটি পদানত জাতিতে পরিণত করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত। ওই অশুভ শক্তি নানাবিধ চক্রান্তজাল রচনা করে আমাদের বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বিপন্ন করে চলেছে।’
বেগম জিয়া তার বিবৃতিতে বলে, ‘এদেশে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নেই। ক্ষমতা জবরদখলকারীরা আক্রমণ চালিয়ে গণতান্ত্রিক শক্তিকে নির্মূল করার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। বর্তমান পরিস্থিতি যেন ভয়ঙ্কর নৈরাজ্যময়। এ অশুভ শক্তির নীলনক্শা বাস্তবায়নে রক্তপাতের ওপরই নির্ভর করা হচ্ছে। ওদের হাত থেকে প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্রকে বিপদমুক্ত করতে মহান বিজয় দিবসের প্রেরণায় আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। মহান বিজয় দিবসে আমি দেশবাসী প্রতি সেই আহ্বান জানাই।’
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আমি প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দেশবাসী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘আজকের এ দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি, সেসব বীর শহীদদের কথা, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন স্বদেশভূমি পেয়েছি। আমি স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি। স্বাধীনতার জন্য যেসব মা-বোন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন-আমি তাদের সশ্রদ্ধ সালাম জানাই।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতার ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ডাকে শুরু হওয়া স্বাধীনতাযুদ্ধ ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে দেশের অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ী হন। তাই ১৬ ডিসেম্বর আমদের গর্বিত এবং মহিমান্বিত বিজয় দিবস। এদেশের দামাল ছেলেরা হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার সূর্য। আজকের এ মহান দিনে আমি সেসব অকুতোভয় বীর সেনাদের সশ্রদ্ধ অভিবাদন জানাই।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘শোষণ-বঞ্চনামুক্ত একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়েই ১৯৭১-এ এদেশের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময়ে আমাদের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়েছে, জনগণের মৌলিক ও মানবিক অধিকার খর্ব হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধার করেছে।’
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ ডিসেম্বর ১৫/ সালাহ উদ্দীন