রাজধানীর প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফিজিওথেরাপিস্টরা দেশে এখন আধুনিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসাসেবা দিতে সক্ষমতা অর্জন করেছে। বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকা অর্থোফিজিওথেরাপি, নিউরোফিজিওথেরাপি, কার্ডিওরেসপেরেটরি ফিজিওথেরাপি, রিহ্যালিটিভ ফিজিওথেরাপি, পেড্রিয়াটিক ফিজিওথেরাপিসহ সাতটি বিভাগে স্নাতক ডিগ্রিধারী ফিজিওথেরাপিস্টরা চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।
তারা বলেন, কিন্তু সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্নাতক ডিগ্রিধারী ফিজিওথেরাপিস্টদের কোনো পদ সৃষ্টি করা হয়নি। অথচ ১৯৭৩ সালের মেডিসিন অনুষদের অধীন অর্থোপেডিক ও ফিজিওথেরাপি স্নাতক কোর্স একই সঙ্গে চালু হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে স্বতন্ত্র ফিজিওথেরাপি কলেজ নেই। অর্থোপেডিক শিক্ষা ও চিকিৎসা অনেক দূর এগিয়ে গেলেও সরকারি মেডিকেল কলেজের কতিপয় চিকিৎসকের বাধার কারণে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা এখন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)-এর আয়োজনে সেমিনারের অংশ নেন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শতাধিক স্নাতক ফিজিওথেরাপিস্ট ছাড়াও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষকেরা। সেমিনারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘বাতব্যথার নিরাপদ চিকিৎসা ফিজিওথেরাপি’।
আলতাফ হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন কুমুদিনী মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এ মহসিন, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের মধ্যে বিপিএর সহ-সভাপতি দলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফরিদউদ্দিন, ডা. সফিউল্লিহ প্রধান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা