ইংরেজি নববর্ষে কক্সবাজারে বসছে তারার মেলা৷ একই মঞ্চে দর্শক মাতাবে নগর বাউল, এলআরবি, জলের গান, চিরকুট, মিলা, মাকসুদ ও ঢাকা, ভাইকিংস, শফি মন্ডল, কিরন চন্দ্র রায়, ভারতের সোমলতা ও অনুপম রায়সহ জনপ্রিয় শিল্পীরা৷ পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের বালুকাবেলায় তিনদিন ধরে চলবে বছরের সবচেয়ে বড় এই উৎসব৷ ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি তিন দিনব্যাপী মেলায় নতুন করে সাজবে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত৷ নতুন বছরের প্রথম প্রহরে গানে গানে স্বাগত জানাতে মঞ্চে থাকছেন জেমস্৷ প্রতিদিন বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত টানা চলবে দেশের জনপ্রিয় শিল্পীদের পরিবেশনা৷ একইসঙ্গে দিনভর থাকছে উৎসবের নানান আয়োজন৷
বিচ কার্নিভ্যালের আয়োজন করছে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, ট্যুরিজম বোর্ড ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসন৷ বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জানান, ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার৷ পর্যটনের গন্তব্য হিসেবে কক্সবাজারকে সারা পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতেই এ আয়োজন৷ পর্যটন বাংলাদেশের জন্য খুবই সম্ভাবনাময় একটি শিল্প৷ সম্ভাবনাময় এই বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে সারা পৃথিবীর কাছে তুলে ধরতে সরকারের বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে৷
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সৈকতে বিচ কার্নিভ্যালের উদ্বোধন হবে সকাল ১০টায়৷ তিন দিনের এই আয়োজনে দেশের সেরা শিল্পীদের গান, স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক আয়োজন, নৃত্য পরিবেশনা, আতশবাজিসহ নানান আয়োজন থাকবে৷ অন্যান্য অনুষঙ্গের মধ্যে থাকছে বর্ণীল খাবারের প্রদর্শনী, লোক শিল্পের পসরা, ঘুড়ি উৎসব, প্রদর্শনী, বিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ইত্যাদি৷ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্রচারণায় এটি হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক আয়োজন৷
বিডি-প্রতিদিন/২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫/মাহবুব