গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বলেছেন, সবচেয়ে দুর্বল মানুষকে সহায়তা ও নিরাপত্তা দেওয়া গণতন্ত্রের অন্যতম একটি বিষয়। এখানে কি সেটা হচ্ছে? এখানে কেউ ভোট দিতে পারে না, ভোট নিয়ে নেওয়া হয়। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমি প্রার্থী ছিলাম। সেখানে যেভাবে সিল মারতে দেখেছি, ৪১ কেন্দ্র থেকে আমার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছিল। তাহলে দলীয় ব্যানারে পৌর নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে তা আমি নিশ্চিত হব কীভাবে?
শনিবার ইডব্লিউএমজিএল- এর কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত 'পৌরসভা নির্বাচনঃ নিরপেক্ষতা ও বাস্তবতা'' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
সাকি, বলেন, এবার দলীয় প্রতিকে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু এটা করার আগে সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজন ছিল না? সেটা তো করা হয়নি। ইউরোপ-আমেরিকাকে অনুসরণ করতেই হবে এমন কী বাধ্যবাধকতা আছে। আর অনুসরণ করছি, কিন্তু সবকিছুতে তো করছি না। পৌর নির্বাচনে আমার তিনজন প্রার্থী আছে। আমি দেখেছি কীভাবে টাকার খেলা হচ্ছে। কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কোথায়?
বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহম্মদ ছহুল হোসাইন, বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী কর্ণেল (অব.) জাফর ইমাম বীর বিক্রম, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রুহুল আমিন হাওলাদার, সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আকতারুজ্জামান, সাবেক আইজিপি হাদিস উদ্দিন, ফেয়ার ইলেকশন মনিটিরিং অ্যালায়েন্স (ফেমা) প্রধান মুনিরা খান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ শারমিন মুর্শিদ, ৭১ টেলিভিশনের বার্তা প্রধান সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ব্যারিস্টার আহসান হাবিব প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে ৭১ টেলিভিশন।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ ডিসেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ