পৌরসভা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য সরকার খুব আন্তরিক উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে কিনা, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
শনিবার ইডব্লিউএমজিএল-এর কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত 'পৌরসভা নির্বাচনঃ নিরপেক্ষতা ও বাস্তবতা'' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, আমরা এখনও শঙ্কিত যে, বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে কি-না। ইতোপূবে তাদের যে রেকর্ড, তাতে দেখা গেছে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। গত কয়েকদিন আগে অনুষ্ঠিত তিন সিটি নির্বাচনও তারা দুপুর ১২টায় বর্জন করলো। তার আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের আগের দিন রাতে তাদের প্রার্থীকে বসিয়ে দেওয়া হলো।
বিএনপি গণতন্ত্র-নির্বাচন কোনোটিতেই বিশ্বাসী নয় বলে তাদের আচরণ এ রকম বলেও মন্তব্য করেন হানিফ।
এমপিরা নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে প্রভাব খাটাচ্ছেন' বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ'র এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে হানিফ বলেন, কোথাও প্রভাব খাটানোর কোনো খবর এখনও তিনি জানেন না। আর বিএনপির যেখানে সাবেক মন্ত্রী-এমপি এমনকি সাবেক প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনী প্রচার করছেন, সেখানে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের প্রচারণায় যেতে না দেওয়ায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হচ্ছে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন বিএনপির প্রতি সদয় হচ্ছে। কারণ, তারা সংসদে নেই। কিন্তু বিপরীতে আমরা প্রচারণায় যেতে না পারায় আমাদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহম্মদ ছহুল হোসাইন, বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীর বিক্রম, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রুহুল আমিন হাওলাদার, সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আকতারুজ্জামান, সাবেক আইজিপি হাদিস উদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ শারমিন মুর্শিদ, ফেমা'র মনিরা খান, ৭১ টেলিভিশনের বার্তা প্রধান সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী, ব্যারিস্টার আহসান হাবিব প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫/মাহবুব