বরিশালে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। নগরীর ভাটারখাল এলাকায় গত শনিবার রাতে এই সংঘর্ষের সময় সিভিল সার্জন ও র্যরের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসসহ ৫টি যানবাহন ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরে থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযান চালিয়ে ১৪টি দেশীয় ধারালো বটি-দাসহ ছাত্রলীগের কর্মী দাবীদার ১৩ কিশোর-তরুণকে আটক করেছে। এ ঘটনায় ওই রাতেই কোতয়ালী থানার এসআই আশুতোষ সরকার বাদী হয়ে দ্রুত বিচার এবং পৃথক অস্ত্র আইনে দুটি মামলা দায়ের করে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন।
মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র সহকারী কমিশনার (গোয়েন্দা) আবু সাঈদ জানান, সদর উপজেলা চরকাউয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ছবির ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী নিলয়কে মারধর করতে গত শনিবার রাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে জিলা স্কুলের সামনে যায় একদল কিশোর। এ সময় রুম্মান নামে একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ হয়। এতে ৫ জন আহত হয়। সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থল অতিক্রম করা জেলা সিভিল সার্জনের জিপ, র্যবের ব্যবহৃত ১টি মাইক্রোবাস এবং ওষুধ কোম্পানির ১টি গাড়িসহ ৫টি যানবাহন ভাংচুর হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ১৪টি ধারালো অস্ত্রসহ মো. হাসান, রেজওয়ান পারভেজ, সাদ্দাম আকন, কামরুল হাসান, রাকিব, আবিদ ইসলাম, আলিফ খান, আল আমিন, সোলায়মান, আদিত অনীক, শুভ, রোমান এবং সালমান রহমানকে আটক করে।
পুলিশের দায়েরকৃত দুটি মামলায় আটক ১৩ জনকেই আসামী করা হয়েছে। আজ রবিবার ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ ডিসেম্বর ২০১৫/শরীফ