সাভারে অপহরণের ৫দিন পর শ্যামলী পরিবহনের হেড মিস্ত্রী রতন মিয়ার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় সাভারের বলিয়ারপুর এনআর সিএনজি স্টেশনের পেছনে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ময়লা-আবর্জনার নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে এবং পরিবহন শ্রমিকরা ক্ষুব্দ হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধের পর একটি শ্যামলী পরিবহনের বাসসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ও সিএনজি স্টেশন ভাংচুর করে।
এসময় প্রায় এক ঘন্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, শ্যামলী পরিবহনের ৪০০ বাসের মালিক গণেশ চন্দ্র ঘোষ ও তার ভাই রমেশ চন্দ্র ঘোষ। এ দুই ভাইয়ের মধ্যে বাসের মালিকানা দ্বন্দ্বের জেরে রমেশ চন্দ্র ঘোষের মালিকানাধীন বাসের হেড মিস্ত্রী রতন মিয়াকে গত সোমবার সন্ধ্যায় সাভারের বলিয়ারপুর এনআর সিএনজি স্টেশন থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় গণেশ চন্দ্র ঘোষের শ্যালক স্বস্তি ঘোষ ও তার সহযোগিরা। এ ঘটনায় অপহৃত রতন মিয়ার ছেলে রনি গত মঙ্গলবার সাভার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ দ্বন্দ্বের সূত্র ধরেই আজ শুক্রবার পুলিশ স্বস্তি ঘোষের সহযোগি গোপাল নামে একজনকে আটক করে এবং তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ সাভারের বলিয়ারপুর এনআর সিএনজি স্টেশনের পেছনে ময়লা-আবর্জনার নিচ থেকে অপহৃত রতন মিয়ার (৪৫) লাশ উদ্ধার করে। তার হাত-পা কাটা ও চোঁখ উপরে ফেলাছিল।
এসময় পুলিশ নুপুর, লুৎফর রহমান, আজিম ও খাইরুল নামে আরো ৪ জনকে আটক করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধের পর একটি শ্যামলী পরিবহনের বাসসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ও এনআর সিএনজি স্টেশন ভাংচুর করে। রাত সাড়ে আটটায় এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
নিহত রতনের ভাই বাবুল মিয়া জানান, গণেশ চন্দ্র ঘোষ ও তার ভাই রমেশ চন্দ্র ঘোষের শ্যামলী পরিবহনের বাসের মালিকানা দ্বন্দ্বের জের ধরেই তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
এব্যাপারে সাভার থানার এসআই শরিফুজ্জামান রাত সাড়ে আটটায় সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং এ খুনের পেছনে আরো যারা জড়িত তাদের ধরার জন্য জোর অভিযান চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৮ জানুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন