দুদকের দায়ের করা অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের আদেশ বহাল রেখেছে সর্বোচ্চ আদালত। এখন আর এই বিএনপি নেতার মুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলে তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
মামলাকারী দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী বলেছেন, আদালত শর্তসাপেক্ষে খন্দকার মোশাররফের জামিন বহালের আদেশ দিয়েছে। এই মামলায় প্রায় দুই বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন মোশাররফ। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তার মুক্তি দাবি করে আসছে বিএনপি।
মামলাটিতে বিচারিক আদালতে তিন মাস আগেই অভিযোগ গঠন হয় ৭১ বছর বয়সী সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এই মামলায় খন্দকার মোশাররফ ২০১৪ সালে বিচারিক আদালতে জামিন চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়ে হাইকোর্টে গেলে গত বছরের অগাস্টে শর্তসাপেক্ষে জামিনের আদেশ পান তিনি। ওই আদেশ ঠেকাতে দুদক সুপ্রিম কোর্টে গেলে তাদের আপিলের আবেদন করতে বলেছিল সর্বোচ্চ আদালত, সেই সঙ্গে জামিনের আদেশ স্থগিত হওয়ায় মোশাররফের মুক্তি মেলেনি।
মামলার এজাহারে বলা হয়, খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করে আইনপরিপন্থী কাজ করেছেন। তিনি ও তার স্ত্রী বিলকিস আক্তার হোসেনের যৌথ নামে যুক্তরাজ্যের লয়েড টিএসবি অফসোর প্রাইভেট ব্যাংকে ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪২.৪৩ ব্রিটিশ পাউন্ড (হিসাব নম্বর- ১০৮৪৯২) জমা করেন, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় দাঁড়ায় ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা। ক্ষমতায় থাকাকালীন ওই টাকা তিনি পাচার করেন বলে দুদকের তদন্তে প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ১৪ আগস্ট ২০১৪ তারিখে দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। এরপর গত বছরের ২৮ অক্টোবর খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
বিডি-প্রতিদিন/ ১০ জানুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা