তুরাগ তীরে আজ থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। আজ ভোরে ফজরের নামাজের পর ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমানের বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। এবার ইজতেমায় যানজট নিরসন ও নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
এ প্রসঙ্গে গাজীপুর ট্রাফিক পুলিশের সিনিয়র এএসপি মো. শাখাওয়াৎ হোসেন জানান, দেড় হাজার ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তার জন্য এবার বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে ৬০টি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ধৌর ব্রিজ থেকে কুড়িল প্রগতি সরণি এবং টঙ্গী ব্রিজ থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কে যানবাহন বন্ধ থাকবে। তবে বিমানযাত্রী, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স এর আওতামুক্ত থাকবে।
এছাড়া ঘোড়াশাল থেকে পূবাইল-কালীগঞ্জ হয়ে আসা যানবাহন টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনের আগে মরকুন পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে ঘোড়াশাল হয়ে ঢাকাগামী যানবাহন কাঁচপুর-যাত্রাবাড়ী সড়ক ব্যবহার করবে।
ইজতেমাগামী, উত্তরাবাসী, বিমানযাত্রী, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য যানবাহন চালকদের মিরপুর-সাভার সড়ক ব্যবহার করতে এবং ঢাকা থেকে ইজতেমায় আগতদের তুরাগ নদীর উপর নির্মিত বেইলি ব্রিজ ও কামারপাড়া ব্রিজ ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম পাশে মুসল্লিদের পারাপারের জন্য তুরাগের উপর আটটি স্থানে ভাসমান সেতু বসিয়েছে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড।
ইজতেমা চলাকালে টঙ্গীর ইজতেমাস্থল ও আশেপাশের এলাকায় অবৈধ দখল উচ্ছেদ, যানচলাচল, হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবারের মান যাচাইয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালিত হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ জানুয়ারি ২০১৬/শরীফ