এসিআই লি. এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আলমগীর বলেছেন, অননুমোদিত মশার কয়েলে ছেয়ে গেছে বাজার। এসব কয়েলে ব্যবহার করা হচ্ছে অতিরিক্ত মাত্রায় বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য। কয়েলের কাজ মশা তাড়ানো, মশা মেরে ফেলা নয়। অথচ, বাজারে এখন এমন কয়েলও পাওয়া যাচ্ছে যাতে মশাই নয়, তেলাপোকা ও টিকটিকিও মরে যাচ্ছে। এটা মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। দেশে কয়েল প্রস্তুত ও বাজারজাতকরণে বিদ্যমান নীতিমালা ও আইনকে পাশ কাটিয়ে এসব কয়েল বাজারে থাকছে কীভাবে?
শনিবার ইডব্লিউএমজিএল কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত 'অনুমোদনহীন বিষাক্ত মশার কয়েল: স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ভোক্তারা' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ আলমগীর বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে কয়েল প্রস্তুত করছি। একটা কয়েল বাজারে আনতে প্রক্রিয়া শেষ করতেই নূন্যতম তিনমাস সময় লাগে। অথচ, রাতারাতি এসব কয়েল বাজারে আসছে। ঘরে ঘরে তৈরি হয়েছে কয়েল ফ্যাক্টরি। এসব কয়েলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে অনেকগুণ বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি দেশে প্রচুর চায়না কয়েল আমদানি হচ্ছে। এ কয়েলগুলোয় অন্তত তিনটি অননুমোদিত ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। আর খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এই কয়েলগুলো শুধু বাংলাদেশ ও আফ্রিকার দেশগুলোতেই বিক্রি করতে পারে চীন। প্রধানমন্ত্রী যেখানে আমদানির বিকল্প চিন্তা করতে বলেছেন, সেখানে কয়েলের মতো বস্তু যা ঘরেই তৈরি করা যায় তা কেন আমদানি হচ্ছে?
বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত আছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল জ্যাকব, ক্যাব'র চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ড. শামসুজ্জামান, ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বি. জে. এএমএম সালেহ ভূইয়া, শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হানিফ, জাতীয় বক্ষব্যাধী ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোস্তাফা হোসেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এনটি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক. ডা. মনিলাল আইচ লিটু, বিএসটিআই'র সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজুল হক, র্যাব-২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিন, গাইনোকোলজিস্ট ডা. নওশিন শারমিন পূরবী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবিরুল বাশার, পরিবেশ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ, ঢাকা জেলার ভেজাল বিরোধী অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানবীর মুহম্মদ আজিম প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/১৬ জানুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ