আগামী সপ্তাহ থেকে অনুমোদিত মাত্রার অতিরিক্ত ক্ষতিকর উপাদান দিয়ে মশার কয়েল উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে আঁটঘাট বেঁধে অভিযানে নামবে র্যাব। এখন এসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
শনিবার ইডব্লিউএমজিএল কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত 'অনুমোদনহীন বিষাক্ত মশার কয়েল: স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ভোক্তারা' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে র্যাব-২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যেখানেই অপরাধ ও অপরাধী থাকবে, সেখানেই র্যাব অভিযান চালাবে। জনস্বাস্থ্য ও জনস্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে র্যাব সদা তৎপর। চায়না থেকে অনুমোদনহীন কয়েল আসছে। শীঘ্রই এগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।
র্যাবের এ ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, কিছু লাইসেন্সধারী ওষুধ কোম্পানি চীন থেকে অনুমোদনহীন ক্ষতিকর জেলি এনে প্যাকেটজাত করে বিক্রি করছিল। এরমধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও নেই। এমন কিছু প্রতিষ্ঠানকে অভিযান চালিয়ে ধরা হলে তারা আদালতে গিয়ে র্যাবের বিরুদ্ধে রিট করে দিয়েছে। কিছু কোম্পানি শুধু রাতেই চলে, দিনে বন্ধ থাকে। এদের ধরতে সম্পতি ১৪ দিন শুধু রাতে অভিযান চালানো হয়। অনেক প্রতিষ্ঠানকে ভোররাতে গিয়ে পাকড়াও করা হয়। অনুমোদনযুক্ত হোক আর অনুমোদনহীন হোক, জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্যের বিরুদ্ধে র্যাব অভিযান অব্যাহত রাখবে। যতোই রিট করুক, অভিযান বন্ধ হবে না।
বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ক্যাব'র চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ড. শামসুজ্জামান, ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বি. জে. এএমএম সালেহ ভূইয়া, শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হানিফ, জাতীয় বক্ষব্যাধী ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোস্তাফা হোসেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু, বিএসটিআই'র সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজুল হক, গাইনোকোলজিস্ট ডা. নওশিন শারমিন পূরবী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবিরুল বাশার, এসিআই লি. এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আলমগীর, পরিবেশ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ, ঢাকা জেলার ভেজাল বিরোধী অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানবীর মুহম্মদ আজিম প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/১৬ জানুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ