নারায়ণগঞ্জে আলোচিত পাঁচ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার নিহত তাসলিমা বেগমের স্বামী মো. শফিকুল ইসলামের ভাগ্নে মাহফুজ একাই ৫ জনকে হত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার মহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের কাছে একথা জানান।
এদিকে, মাহফুজ জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামান শরিফের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানেও মাহফুজ ৫ জনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
নিহত ৫ জন হলেন শফিকুল ইসলামের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৪০), তাঁর ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), ভাই মোরশেদুল (২৫) এবং তাসলিমার জা লামিয়া (২৫)।
পুলিশ সুপার বলেন, মামি লামিয়ার সঙ্গে ভাগনে মাহফুজের সর্ম্পক ছিল। এই সম্পর্কের কারণে তাঁর মামা শরীফুল ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে নারায়ণগঞ্জে ভাড়া বাড়িতে চলে আসেন। এর আগে হত্যাকাণ্ডের ১৬ দিন আগে লামিয়ার সঙ্গে মাহফুজের অনৈতিক সম্পর্কের কারণে পারিবারিক সালিসে তাঁকে জুতাপেটা করা হয়। এই ঘটনায় ক্ষোভ থেকে মাহফুজ এই হত্যাকাণ্ড ঘটান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মাহফুজ ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সবার অগোচরে ওই বাসায় প্রবেশ করে একটি খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে। রাত ২টার দিকে খাটের নিচ থেকে বের হলে মোশাররফ বিষয়টি টের পান। এ সময় মশলা বাটার শিল (পুতা) দিতে মোশাররফের মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ভোরে লামিয়া ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যান। বাথরুম থেকে বের হলে মাহফুজ পুতা দিয়ে একইভাবে মাথায় আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহটি মোশাররফের রুমে রেখে দরজা ভেতের থেকে বন্ধ করে রাখেন মাহফুজ।
এরপর সকালে তাসলিমার ছেলে শান্ত স্কুলে যায়। তখন তাসলিমাকেও একই কায়দায় হত্যা করা হয়। এই হত্যার ঘটনা দেখে ফেলায় তাসলিমার মেয়ে সুমাইয়াকে হত্যা করা হয়। আর স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পর শান্তকে হত্যা করে ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় মাহফুজ।
বিডি-প্রতিদিন/২১ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব