বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) শতাধিক টয়লেট ব্যবহার করতে পারছেন না রোগীরা। গণপূর্ত বিভাগের পরিচ্ছন্নতা-কর্মীরা বেতন না পাওয়ায় কাজ বন্ধ রাখায় এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ কারণে ওই সকল ওয়ার্ডের রোগীদের মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে দুই-এক দিনের মধ্যে পরিচ্ছন্নতা-কর্মীরা কাজে যোগদান না করলে মেডিকেলের ৬ শতাধিক টয়লেটের অর্ধেকের বেশী ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে রোগী ও তাদের স্বজনদের মেডিকেলে থাকার পরিবেশ অনুপযোগী হয়ে পড়বে বলে আশংকা সংশ্লিস্টদের। এতে চিকিৎসা সেবা ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এদিকে গত ৫ দিন ধরে এই অবস্থা চলতে থাকলেও গণপূর্ত বিভাগ থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
মেডিকেল সূত্র জানায়, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং চিকিৎসকের কক্ষে থাকা ৬শ’ টয়লেট প্রতিদিন পরিস্কার করেন মেডিকেলের সুপাইপাররা। তবে ওই সকল টয়লেটের মধ্যে যে সকল টয়লেটে ময়লা আটকে যায় তা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করেন গণপূর্ত বিভাগের দৈনিক মজুরী ভিত্তিক পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। গত ৫ দিন শতাধিক টয়লেট ব্লক (আটকে) হয়ে যাওয়ায় ওই সকল টয়লেট ব্যবহার করতে পারছেন না রোগী এবং চিকিৎসকরা। এমনকি ব্লক হয়ে যাওয়ায় টয়লেটগুলো থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে ওয়ার্ডগুলোতে। অনেক রোগী ওই ময়লা টয়লেট ব্যবহার করায় দুর্গন্ধ আরও বাড়ছে।
নিয়মানুযায়ী ময়লা আটকে যাওয়া টয়লেট পরিস্কার করার কথা গণপূর্ত বিভাগের দৈনিক মজুরী ভিত্তিক পরিচ্ছন্ন কর্মীদের। কিন্তু বেতন বকেয়া থাকায় কাজ বন্ধ রেখেছেন তারা। এ কারণে শতাধিক টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর সাথে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪টি টয়লেটে ময়লা আটকে যাচ্ছে। এভাবে দীর্ঘদিন চলতে থাকলে বেশীরভাগ টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।
মেডিকেলের প্রশাসনিক দপ্তর সূত্র জানায়, গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলামের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি দৈনিক মজুরী ভিত্তিক পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বেতনের ফাইলে স্বাক্ষর না করায় বেতন পাচ্ছেন না তারা। আর বেতন না পেলে তারা কাজে যোগদান করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
শেরে-ই বাংলা মেডিকেলের পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ওসমান গণিকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন।
গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বেতন পরিশোধ করে যত দ্রুত সম্ভব টয়লেট পরিস্কার করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/২১ ডিসেম্বর ২০১৬/হিমেল