কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বম্ব ডিসপোজাল টিম রাজধানীর দক্ষিণখানে আশকোনার জঙ্গি আস্তানার তিন রুমের ওই ফ্ল্যাটের দুই রুমে প্রবেশ করতে পেরেছে। ভেতরে প্রচুর গ্যাস থাকার কারণে একটি রুমে এখনো তারা প্রবেশ করতে পারেনি। ওই রুমেই কিশোর জঙ্গির লাশ রয়েছে বলে জানা যায়।
আজ সকালে বম্ব ডিসপোসাল টিমের সদস্যরা আশকোনার জঙ্গি আস্তানায় প্রবেশ করেন। এরপর তারা দুটি রুমে প্রবেশ করেন। সিটিটিসি ইউনিটের ডিসি প্রলয় কুমার জোয়ার্দার সাংবাদিকদের জানান, ভেতরে প্রচুর গ্যাস, দুটি রুমে পুলিশ প্রবেশ করতে পারলেও একটিতে এখনো প্রবেশ করা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস গ্যাস নিঃসরণের কাজ করছে। তারপর সেখানে প্রবেশ করা যাবে। ফ্ল্যাটের ভেতরে পাঁচটি গ্রেনেড এবং দুটি সুইসাইডাল ভেস্ট (আত্মঘাতী ভেস্ট) আছে। এর মধ্যে দুটি গ্রেনেড খুবই বিপজ্জনক। সেগুলো নিষ্ক্রিয় করতে বম্ব ডিসপোজাল টিম প্রবেশ করবে।
দক্ষিণখান থানার পূর্ব আশকোনার ৫০ নম্বর বাড়িতে শুক্রবার রাত ১২টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের সিটিটিসি ইউনিট অভিযান চালায়। অভিযানে এক নারী ও এক কিশোর জঙ্গি নিহত হয়েছে। পুলিশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে দুই নারী ও তাদের দুই সন্তান। নিহত নারী জঙ্গির আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে আহত হয় তার শিশুকন্যা। ওই শিশুকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার