চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রতি বছর নানা চক্ষু রোগে আক্রান্ত ২০ রোগীকে অপারেশন দেওয়া হয়। তাছাড়া প্রতিবছর অন্ত ও বহির্বিভাগে ৪ লাখ রোগীর সেবা দেওয়া হয়। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৮০ লক্ষাধিক চক্ষু রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে। এখন নতুন উদ্যোগ ‘ভিশন সেন্টার’ এর মাধ্যমে প্রতি বছর ৫ থেকে ৮ লক্ষ রোগীর চক্ষু চিকিৎসা, অন্ধত্ব নিবারণ ও রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি আন্তর্জাতিক চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
হাসপাতালের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে ‘চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মনির আহমেদ, ইনস্টিটিউট অব কমিউনিটি অফথালমোলজির অধ্যাপক ডা. মুনিরুজ্জামান ওসমানী, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।
আন্তর্জাতিক চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, চক্ষু হাসপাতালের সেবা তৃণমূলে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ‘ভিশন সেন্টার’ স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে সাতকানিয়ার কেরানি হাট ও মিরসরাইয়ের বারইয়ার হাটে দুটি ভিশন সেন্টার চালু করা হয়েছে। চক্ষু চিকিৎসা ছাড়াও এসব সেন্টার ভিত্তিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চক্ষু পরীক্ষা, গ্রাম ডাক্তার ও বিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য প্রাথমিক চক্ষু পরিচর্যা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আগামী বছর নোয়াখালীতে আরো সেন্টার স্থাপনে অরবিস এগিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, অরবিস ইন্টারনেশনালের উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল চতুর্থবারের মত চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালকে কেন্দ্র করে আগামী বছরের শেষের দিকে দুই সপ্তাহের জন্য চট্টগ্রামে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কার্যক্রমটির উদ্দেশ্য, তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আধুনিক চক্ষু চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং আন্তর্জাতিকমানের চক্ষু সেবা সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান দান করা।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ