শিশু ইয়ামিন। চার মাস আগে ভুলে গাড়ি ও ট্রেনে চড়ে চলে যায় ভারতে। এরপর খবরহীন ছিল ইয়ামিন। পরে সেখানকার এক উন্নয়ন সংগঠন খোঁজ পায় তার। যোগাযোগ হয় ইয়ামিনের পরিবারের সঙ্গে। নানা প্রক্রিয়া শেষে ৪ মাস পর সে দেশে ফিরে আসে মায়ের কোলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ইয়ামিনের মা শামসুন নাহারের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় মেয়র গরীব পরিবারের এ সন্তানের খরচের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
জানা যায়, কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোট থানার মতলবপুর গ্রামের মরহুম আবদুল কাদেরের ১২ বছরের শিশু সন্তান মোহাম্মদ ইয়ামিন। ৬ বছর পূর্বে সে তার গৃহ ত্যাগ করে ঢাকায় চলে যায়। সেখানে গৃহকর্তার নির্যাতনে শিশু ইয়ামিনের ডান চোখ নষ্ট হয়ে যায়। তার মা তাকে ঢাকা থেকে এনে চোখের চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলেন। কিন্তু গত চার মাস আগে শিশুটি ভুলে গাড়ি ও ট্রেনে চড়ে বেনাপোল সীমান্ত পার হয়ে ভারতের দিল্লীতে চলে যায়। সেখানে বাটারফ্লাই নামের একটি উন্নয়ন সংস্থার কাছে আশ্রিত হয়। সেখানে বাটারফ্লাই কর্তৃপক্ষ শিশুটির বড়বোন কাকলীর মোবাইলে যোগাযোগ করে গত ১৫ দিন আগে। মা নিজের সন্তানকে ভারত থেকে বাংলাদেশে আনতে চায়। কিন্তু মায়ের এই আর্থিক সক্ষমতা ছিল না। পরে শিশু অধিকার বাস্তবায়নকারী সংস্থা অপরাজেয় বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়।
অপরাজেয় বাংলাদেশের প্রকল্প সমন্বয়ক মাহবুবুল আলম বলেন, আইআরসিসিএলটি ঢাকা ও চট্টগ্রাম কর্মীদের মাধ্যমে সরেজমিনে শিশুর পরিবার পরিদর্শন করে। শিশুর মা ও বোন ইয়ামিনকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত করে। গত ৩ জানুয়ারি বাটারফ্লাই এনজিও অপরাজেয় বাংলাদেশ শিশু অধিকার বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিকট রেফার করে। বৃহস্পতিবার মেয়রের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।