দীর্ঘ রাজনৈতিক পথচলায় উত্থান-পতনের অনেক ঢেউ দেখেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বিএনপির কেন্দ্রীয় এই সদস্য এক সময় পালন করেছেন সিলেট জেলা ও মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। চারদলীয় জোটের সময় ছিলেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর। ওয়ান ইলেভেনের সময় করতে হয়েছে কারাবরণ।
চারদলীয় জোটের সময় তৎকালীন অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম. সাইফুর রহমানের আর্শীবাদপুষ্ট আরিফুল হক চৌধুরীর শুভাকাঙ্ক্ষিরও ছিল না কমতি। কিন্তু ওয়ান ইলেভেনের সময় জেলে গেলে কেটে পড়েন সেই শুভাকাঙ্ক্ষিরা। কারাবন্দী আরিফ কিংবা তার পরিবারের খোঁজও সেসময় নেননি ‘সুসময়ের বন্ধুরা’।
শনিবার সকালে সিলেট মহানগরীর মাছিমপুর মণিপুরী পাড়ায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে গিয়ে দুঃসময়ের স্মৃতি বর্ণনা করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মেয়র আরিফুল হক। মণিপুরী সম্প্রদায়ের লোকজন তাকে উত্তরীয় হিসেবে মণিপুরী গামছা পরিয়ে দিলে তিনি আবেগ্লাপুত হয়ে পড়েন।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন ‘আমি যখন কুমিল্লা কারাগারে বন্দী, তখন আমার পাশে কেউ ছিল না। কেউ দেখতেও যেত না সেখানে। আমার সেই দুঃসময়ে সিলেট থেকে আমাকে দেখতে গিয়েছিল সিলেট নগরীর মণিপুরী ছেলে-মেয়েরা। আম্বরখানার কলিং সিংহের বোন আমার জন্য লম্বা একটি মণিপুরী গামছা নিয়ে গিয়েছিল। তাই এই গামছা দেখলেই আমার জেলের স্মৃতি মনে পড়ে যায়। আমার দুর্দিনের সাথী এই মণিপুরী গামছাকে আমি কখনো ভুলতে পারবো না।’
আরিফের এই আবেগঘন কথা উপস্থিত অনেককেই বাকরুদ্ধ করে দেয়। তখন তাদের চোখে ছিল সহানুভূতির দৃষ্টি।
বিডি-প্রতিদিন/৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭/মাহবুব