মজুরি কমিশন, বদলি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ ও বকেয়া মজুরি পরিশোধসহ ১১ দফা দাবিতে খুলনা-যশোর অঞ্চলের ৮ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে টানা কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকরা। একই দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম ও ঢাকার আরো ১২টি পাটকলে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি)’র হিসাব মতে, খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে গেলো ছয় দিনের ধর্মঘটে উৎপাদন ঘাটতি হয়েছে প্রায় ১২০০ মেট্রিক টন পাট পণ্যের। যার বাজার মূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা। শ্রমিকদের দাবি, প্রতিটি পাটকলে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া রয়েছে। টাকার অভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। ফলে বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন।
খুলনা-যশোর পাটকল শ্রমিক সিবিএ-ননসিবিএ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন জানান, আগামী দু'এক দিনের মধ্যে ঢাকায় শ্রমিক সমাবেশে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিক আন্দোলন চলবে।
এদিকে দ্রুত শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনসহ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে বিএমআর, সময়মতো সরকারি অর্থ বরাদ্দ, দুর্নীতিমুক্ত দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও পাট শিল্প রক্ষায় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার দাবি জানিয়েছে পাট ও পাট রক্ষা কমিটি। মঙ্গলবার খুলনায় সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবির কথা জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খালিদ হোসেন।
এদিকে বিজেএমসি’র খুলনার আঞ্চলিক সমন্বয় কর্মকর্তা গাজী শাহাদাৎ হোসেন জানিয়েছেন, ধর্মঘটের কারনে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত ৮ পাটকলে প্রতিদিন গড়ে ২০০ মেট্রিক টন পাট পণ্যের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে প্রতিদিন গড়ে ক্ষতি হচ্ছে দুই কোটি টাকা। তিনি বলেন, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদেশে পাটপণ্য বিক্রির টাকা এ সপ্তাহে পাওয়া যাবে। মজুরি পরিশোধ হলে শ্রমিক অসন্তোষ থাকবে না।
বিডি-প্রতিদিন/০২ জানুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব