নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সিদ্ধিরগঞ্জে নানী-নাতি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কোন অভিবাবক না থাকায় এবং মেয়ের জামাই সন্দেভাজন আসামি হওয়ায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার (এসআই) নাসির উদ্দিন বাদি অজ্ঞাত নামা আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে নিহত পারভিন আক্তারের জামাতা ও মেহেদী হাসানের পিতা নবী আউয়াল (৪০) কে সন্দেভাজন আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, নিহতদের অভিবাবক না থাকায় এবং মেয়ের জামাই সন্দেভাজন আসামি হওয়ায় পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক নবী আউয়ালকে সন্দেভাজন আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য যে, গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে নবী আউয়ালের শাশুড়ি পারভিন আক্তার ও ছেলে মেহেদী হাসান নিখোঁজ হয়। পরে নবী আউয়াল নিখোঁজের বিষয়ে এলাকায় মাইকিং করায়। ৩ জানুয়ারি বুধবার এ ব্যাপারে থানায় জিডি করলে পুলিশ ওই বাড়িতে তদন্ত করতে আসে। তবে পুলিশ কোন আলামত পায়নি। ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে নবী আউয়াল নিজেই থানায় ফোন করে পুলিশকে জানায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পরে পুলিশ এসে তালাবদ্ধ ঘরের ভেতরে নানী ও নাতির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। নিহত পারভিন আক্তার ইতালি প্রবাসী তোফাজ্জল হোসেনের ওই বাড়ির কেয়ারটেকার ছিল। তার স্বামীর নাম মৃত আব্দুর রহিম। তাছাড়া তালাবদ্ধ ওই ঘর থেকে মাদকের আলামত পেয়েছে পুলিশ। অপর দিকে নিহত মেহেদী হাসান স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের ৩য় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন