টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারেনি স্কুলে। অথবা সংসারে অভাবের কারণে শিশু শ্রমে কাজে লেগে যেতে হয়েছে। এমন পরিস্থিতে পড়ে ঝড়ে পড়া শিশু শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষিত করার লক্ষ্যে ১৮০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত শহরের গলাচিপায় অবস্থিত আরবান স্লাম আনন্দ স্কুলে ১৮০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪টি করে খাতা, একটি স্কেল ও একটি বক্স দেয়া হয়।
জানা গেছে, এসব শিশুদের এখন ৪র্থ বা ৫ম শ্রেণিতে পড়ার কথা। কিন্ত হয়ত দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময় টাকার অভাবে বা সংসারে টানে বাধ্য হয়ে ছাড়তে হয়েছিল শিক্ষা জীবন। এখন ওইসব শিশুদের খুঁজে বের করেই বর্তমান সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্কুল পরিচালনা করা হচ্ছে। সেখানে নতুন করে এসব শিশুদের ভর্তি নিয়ে পুনরায় শিক্ষা জীবন শুরু করতে পারবে তারা।
অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, আগামী দিনে রিক্সা চালাতেও ৫ম শ্রেণী পাস করতে হবে। আবার গাড়ির ড্রাইভার হতে হলেও এসএসসি পাস হতে হবে। তাই অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা কতটুকু পড়েছেন তা জানি না। কিন্তু ছেলে মেয়েদের অবশ্যই সুশিক্ষিত করতে হবে, তা না হলে আগামীকে কোন কাজে আসবে না। তিনি বিত্তবানদের প্রতি এ সকল ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের পাশে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, শহরের গলাচিপা আরবান স্লাম আনন্দ স্কুলে ১৮০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৭৩ জন নিয়মিত শিক্ষার্থী ৯ মাসে ২ হাজার ৭০০ টাকা উপবৃত্তি পাবে। এই স্কুলটিতে ভর্তি হওয়া শিশুদের সকলেই এর আগে স্কুল থেকে ঝড়ে পড়েছিল। অর্থের অভাবে অনেকেই স্কুলে ভর্তি হতে না পেরে বিভিন্ন শিশুশ্রমে নিয়োজিত হয়েছিল। স্কুলটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে পৃথক ৩টি শ্রেণিকক্ষ, ১টি চাইল্ড ক্লাব ও একটি অফিসকক্ষ। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুল ড্রেস, ব্যাগ, ফ্লাস্ক, জুতা ও মোজাসহ অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ জানুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব