‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে’ এই স্লোগানে ‘বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ২০১৮’ এর সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার দিনব্যাপী মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এম হাবিবুর রহমান লাইব্রেরি হলে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির উদ্যোগে, এমইউ সিএসই সোসাইটির আয়োজনে ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সহযোগিতায় এ প্রতিযোগিতায় দুটি গ্রুপের ২০ শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ের বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত হয়।
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. বদিউজ্জামান ফারুক, জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আজিজুর রহমান লস্কর, রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আশরাফুল আলম, অধ্যাপক কবি বাসিত ইবনে হাবিব, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সিলেট অঞ্চলের প্রধান কাজী মোতাহের হোসেন।
এমইউ সিএসই সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ অমিত চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে ছিলেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ফুয়াদ আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন এমইউ সিএসই সোসাইটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবিদ কায়সার, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার তকী আফিন্দী প্রমুখ।
আয়োজকরা জানান, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার জন্য বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ২৮০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তন্মধ্যে ক গ্রুপ (নবম-দশম) থেকে মনোনীতরা হচ্ছে অরিত্র দেবনাথ, আহমেদ আশরাফ জাওয়াদ, সাফায়াত জামিল, সপ্তক চন্দ্র, আবিদ হাসান, শুভ্র রায় শুভ, গুলসানা চৌধুরী, আদিল আহমেদ, মেহেদি হাসান শুভ ও রূপন কান্তি দাস। খ গ্রুপ (একাদশ-দ্বাদশ) থেকে মনোনীতরা হচ্ছে ফারহান মোহিত নিটোল, আব্দুল গফুর, আবিদ মো. তাওসীফ, আহনাফ দাইয়ান, হোসাইন মাসুম, রুমানা আক্তার, তানজিম উদ্দিন আহমেদ, তন্ময় কান্তি সাহা, খায়রুল আলম ও মিনহাজ আহমেদ। এদের সবার হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
এদিকে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের প্রশ্নোত্তর পর্বে সেরা প্রশ্নকারী মনোনীত হয় পার্থ প্রতীম রায়, পান্না দাস আরিয়ান, সানজিদা আক্তার সুমা, সানজানা আক্তার জেমি ও জারিন আহমদ। অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিযোগিকে সনদপত্র প্রদান করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন