আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় দুই সাক্ষীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। পাশাপাশি সাক্ষীদের প্রভাবিত করায় অভিযোগে জামিনে থাকা আসামির জামিন বাতিল করে তাকেও কারাগারে পাঠিয়েছে। ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।
আদেশে বিচারক ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে ওই সাক্ষীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন। কারাগারে যাওয়া সাক্ষীরা হলেন- ঢাকার কদমতলী থানার ৪২২, নূরপুর, দক্ষিণ ধনিয়ার মৃত বজলুর রহমানের ছেলে মো. আব্দুস সত্তার ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়ার খোকন মিয়ার স্ত্রী লাকি বেগম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কারাগারে পাঠানো ওই দুই সাক্ষী কদমতলী থানার ৩০(১০) ২০০৮ নম্বর মামলার চার্জশিটভুক্ত সাক্ষী। মঙ্গলবার তারা মামলাটিতে আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেন। কিন্তু আদালতে হাজির হয়ে মামলার ঘটনা সংক্রান্তে কোন সাক্ষ্য প্রদান না করে বরং পুলিশের কাছে তারা কোন সাক্ষ্য দেননি বলে জানান। পরে বিচারকের কাছে স্বীকার করেন আসামির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সাক্ষ্য দিতে এসেছেন।
মামলায় বলা হয়েছে, ঢাকার কদমতলীর ধনিয়ার মোক্তারুজ্জামানের ছেলে পলাশের সঙ্গে ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার জাহানাবাদের কায়সার আহমদের মেয়ে সৈয়দা অনামিকা ওরফে সোমার বিয়ে হয় ২০০৪ সালের ৫ অক্টোবর। যৌতুকের দাবিতে নিহত সোমাকে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন চালাতেন স্বামী। পরে ছয় মাসের অন্তঃসত্তা অবস্থায় ২০০৮ সালের ৩ অক্টোবর সোমা শ্বশুর বাড়িতে ফ্যানে সঙ্গে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার