পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, পূর্বের তুলনায় আমাদের দায়বদ্ধতা অনেক বেড়েছে। কেননা দেশের জনগণ আমাদেরকে যেভাবে বিজয়ী করেছে তাতে বোঝা যায় তাদের প্রত্যাশা আমাদের কাছে অনেক উচ্চে। তাই আমাদের লক্ষ্য দেশের সকল মানুষকে নিয়ে একসাথে নতুন করে পথচলা শুরু করা, মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করা। যেখানে থাকবেনা কোন হানাহানি, মারামারি বা ভেদাভেদ।
আজ নাঙ্গলকোটের সোন্দাইল এলাকায় জনগণের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, একটি বিষয়ে কড়া নজরদারীতে থাকতে হবে, কোনভাবেই যেন কোন অপশক্তি আবার মাথা চাড়া দিয়ে না উঠতে পারে। যেহেতু দেশবাসী আমাদেরকে সেবা করার সুযোগ প্রদান করেছে, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে তাই আমাদের এখনকার কাজ হচ্ছে আমাদেরকে তাদের চাহিদা তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মত রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে দেশ ও জাতি আজ শোকে মূহ্যমান। বাংলাদেশের প্রথম সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের সুযোগ্য পুত্র সৈয়দ আশরাফ ছিলেন পুরোদস্তুুর সৎ ব্যক্তিত্ব, দক্ষ সংগঠক ও গণমানুষের নেতা। ১/১১-এর দুঃসময়ে তাঁর বলিষ্ঠ ভূমিকার কথা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি।
বিপুল ভোট জয় লাভ করায় তিনি তার নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লা-১০ এর সকল মানুষের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, আমার এলাকার প্রতিটি বাড়ির প্রতিটি ঘরের মানুষই আমার সাথে ছিল, এমন একটি মানুষ আমি দেখিনি যার সাথে কথা বলে মনে হয়েছিল সে আমাকে ভোট দেবেনা। আসলে হয়েছেও তাই এলাকার প্রতিটি মানুষই আমাকে ভোট প্রদান করে বিজয়ী করেছেন।এমনকি আমার এলাকার অধিকাংশ প্রবাসী আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য দেশে চলে এসেছিল, তাদের জন্য আমার বিশেষ ধন্যবাদ।
নির্বাচন পরবর্তী এ মতবিনিময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন কালু, পৌরসভা মেয়র আব্দুল মালেক, উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ, নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের আহŸায়ক রফিকুল ইসলাম এবং সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যাবৃন্দসহ আওয়ামী লীগ, কৃষকলীগ, মহিলালীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগসহ দলীয় সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল