থ্যালাসেমিয়া একটি রক্তস্বল্পতাজনিত বংশগত রোগ। বাবা-মা থেকে সন্তান এই রোগ নিয়ে জন্ম গ্রহণ করতে পারে। বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতির জরিপ মতে দেশে শতকরা ১০ থেকে ১২ ভাগ মানুষ থ্যালাসেমিয়া ও হিমোগ্লোবিন-ই বাহক। প্রতি বছর প্রায় সাত হাজার শিশু এই রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এই রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক বহুজাতিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জুলফারের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান জুলফার বাংলাদেশ লি. সর্বস্তরের মানুষের মাঝে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে শুক্রবার সকাল ৯ টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিটি আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস ও শিশুমেলা হয়ে পূণরায় মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর পরিদর্শন করা হয়।
র্যালির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জুলফার বাংলাদেশ এর সিইও সেলিম সোলায়মান সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে সব সময় থ্যালাসেমিয়া রোগীদের সাথে থাকার ঘোষণা দেন। তিনি আরও বলেন, জুলফার বাংলাদেশ প্রথম কোম্পানী হিসেবে অতি শীঘ্রই থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধ বাজারজাত শুরু করবে।
র্যালিতে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু ও তাদের অবিভাবক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, থ্যালাসেমিয়া সমিতি ও ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি এবং জুলফারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী মানিক দে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতার বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আগামী ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য জুলফার বাংলাদেশ আয়োজিত থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক সেমিনারে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে। থ্যালাসেমিয়া বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি, বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল এসকল কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল