ড্রোনের বহুবিধ ব্যবহার ও এন্ট্রিড্রোন টেকনোলজি নিয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী চীন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে চীন সরকার পরিচালিত লিওনিং জেনারেল অ্যাভিয়েশন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।
গত ১০ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন তারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বাংলাদেশ পুলিশ, বর্ডার গার্ড, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স, কোস্ট গার্ড, ডি.এম.পি প্রতিনিধিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এসময় মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগে ও নিরাপত্তা প্রদানকারী সংস্থাগুলো আধুনিকায়ন করতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা (ড্রোন) অভ্যান্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা জোরদারের সাথে চালকবিহীন বিমান সংযোজন করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, শিগগিরই আমাদের নিরাপত্তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোতে ড্রোন ও এন্ট্রিড্রোন টেকনোলজি সংযুক্ত হতে যাচ্ছে।
প্রজেন্টেশন সেশনে নিরাপত্তা ও নজরদারীর বিভিন্ন ক্ষেত্রে ড্রোনের বহুবিধ ব্যবহার ও এন্ট্রিডোন টেকনোলজির বিষয়ে LGAA-এবং UAV-এর অপারেশনাল হেড বিজ্ঞানী চ্যান চাংগলং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে LGAA-এ সাউথ এশিয়া বিভাগের রেজিওনাল হেড ক্যাপ্টেন সিফাত মো. রাফসান জানি বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে নিরাপত্তা ও নজরদারীর ক্ষেত্রে আধুনিক বিশ্বের প্রযুক্তি নির্ভর চালকবিহীন বিমান ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের জননিরাপত্তা ও নজরদারির বিভিন্ন সংস্থাসমূহে আধুনিকায়নের স্বার্থে প্রযুক্তিগত দিকে বাংলাদেশের বন্ধু দেশ চীনের LGAA কোম্পানী সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল