রাজাকারের তালিকায় প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে এবার আওয়ামী লীগ নিজেরাই ফেঁসে গেছে। প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় দেখা যায়, অধিকাংশই আওয়ামী লীগের চিহ্নিত নেতাকর্মী। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের চেহারা প্রকাশ পেয়েছে।
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের গৌরবকে নিজেদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থে ব্যবহার করতে গিয়ে নানা রকম অঘটনের জন্ম দিয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কারও কারও বিচার হয়েছে। আবার কেউ কেউ আত্মীয়তার বন্ধনের কারণে দিব্যি বহাল তবিয়তে।
রিজভী বলেন, তালিকা প্রকাশের ঘটনায় জনগণ বিস্মিত নয়। কারণ মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। প্রকাশিত তালিকায় জনগণের সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের থলের বিড়াল বের হতে শুরু হওয়ায় তা প্রত্যাহারের প্রশ্ন ওঠছে। প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় আওয়ামী লীগের চেহারা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তারা এখন নিজেরাই কুতর্কে লিপ্ত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের দোষ আর মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপর দায় চাপাচ্ছে। যেই মন্ত্রণালয়ের দায়ী থাকুক, আওয়ামী লীগ মূলত স্বাধীনতার মূল স্পিরিটের বিরোধী।
রিজভী বলেন, দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় পর কারারুদ্ধ দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার স্বজনদের দেখা করতে দেওয়া হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে আদালতে পেশ করা মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্টের সঙ্গে শারীরিক অবস্থার বাস্তবে কোনো মিল পাননি, দেখতো যাওয়া তার বোনসহ পরিবারের সদস্যরা। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি দেশনেত্রীকে কারাগারে রেখে বিনা চিকিৎসায় তিলে তিলে নিঃশেষ করাটাই এই সরকারের অভিপ্রায়। বাস্তবে তাই হতে চলেছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন