আশুলিয়ায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এসময় এতিমখানা, হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ ও কৃষি জমির পাশে এবং নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা পাঁচটি ইটভাটাকে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
এছাড়া এসব ভাটার পরবর্তী কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে পাঁচটি ভাটাকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার সকালে পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা শাখার উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সকালে ৫টি ইটভাটার বৈধ কাগজপত্র না থাকায় এবং ভ্যাট ফাঁকি ও পরিবেশ দুষণের অভিযোগে বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নেতৃত্বে এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। সকাল ১০টায় আশুলিয়ার মরাগাঙ্গ এলাকার মেসার্স রাজু ব্রিকস, দেওয়ান ব্রিকস, এমসিবি ব্রিসক, আল এএবি ব্রিকস নামে ৫’টি ইটভাটায় আকস্মিক এ অভিযান পরিচালিত হয়।
পরিবেশ অধিদফতরের ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ বলেন, পরিবেশ অধিদফতরের অভিযোগের ভিত্তিতে আশুলিয়ায় যেসব ইটভাটায় অবৈধভাবে ইট তৈরি করে লাখ লাখ টাকা সরকারের ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয় সেসব ইটভাটায় অভিযান পরিচালিত হবে। সকালে আশুলিয়ার মরাগাঙ্গ এলাকার মেসার্স দেওয়ান ব্রিকস ও রাজু ব্রিকসে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকৃত ইটভাটা পরিচালনায় যেসব বৈধ কাগজপত্র থাকা দরকার তা কিছুই নেই। এ ছাড়া এসব ইটভাটায় অবৈধভাবে ইট তৈরি করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। তাই এসব ভাটা ভেঙে দেয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে মেসার্স দেওয়ান ব্রিকসের মালিক তাজুল ইসলাম জানান, তাদের ভাটায় ইট তৈরির জন্য অনুমোদনের কাগজপত্র পরিবেশ অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট দফতর ইটভাটা বন্ধ বা ভেঙে দেয়ার কোনো নোটিশ তাদের দেয়নি। হঠাৎ সকালে এসেই তাদের ইটভাটার ইট পোড়ানো চুলা ভেকু ও ক্রেন লাগিয়ে ভাঙচুর চালায়। এ ছাড়া মাঠে তৈরিকৃত কাঁচা ইট স্তূপকৃত মজুদ ভেঙে দেয়া হয়। এতে তাদের প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
পুলিশ ও পরিবেশ অধিদফতর সূত্র জানায়, আশুলিয়ায় প্রায় ৬০টি ইটভাটা রয়েছে। বেশির ভাগ ইটভাটা মালিকেরা কোনো প্রকার কাগজপত্র ছাড়াই অবৈধভাবে ইট তৈরি করে ও সরকারের ভ্যাট ফাঁকি দেয়। এ ছাড়া কোনো মালিকের একটি ইটভাটার অনুমোদন থাকলে আরো দু-একটি অবৈধভাবে পরিচালনা করেন। এসব ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে ছোট ইট তৈরি ও চড়া দামে ইট বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে।
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক মো. শরিফুল আলম, মাহাবুবুর রহমান, জেসমিন আক্তার প্রমুখ। এছাড়া অভিযান চলাকালে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ নিরাপত্তার জন্য র্যাব ও পুলিশের বিপুল সংখক সদস্য মোতায়েন ছিল।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল