রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহ চলছে। একদিকে শীত, অন্যদিকে শৈত্যপ্রবাহের সাথে কনকনে বাতাস শীতের তীব্রতাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। তীব্র এই শীতের কারণে নিউমোনিয়া, ডাইরিয়া আর রোটা ভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া শীত নিবারনের জন্য আগুন পোহাতে গিয়েও দগ্ধ হয়েছেন অনেকে। এতে গত ১২ দিনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ জন মারা গেছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যাদের অধিকাংশই শিশু।
রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার সকালে শিশু ওয়ার্ডে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে রংপুর পীরগাছার কান্দি এলাকার দিনমজুর নজরুল ইসলামের ৩ বছরের ছেলে আরমান মারা গেছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় শীতজনিত কারণে ও আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন ৩ জন। এ নিয়ে ১২ দিনে রমেকে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৫ জনে।
এছাড়া বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৬ জন দগ্ধ রোগী। তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. আব্দুল হামিদ জানান, গত কয়েকদিনে আগুনে দগ্ধ ৪ রোগী মারা গেছেন।এছাড়া ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
প্রতিদিনই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গড়ে শতাধিক শিশু উত্তরাঞ্চলের একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এ বিষয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. শাহাদত হোসেন বলেন, রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে প্রচণ্ড শীতে নিউমোনিয়া, রোটা ভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগ-বালাই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এক হাজার বেডের এ হাসপাতালে সবসময় দুই হাজারের বেশী রোগী থাকে। ফলে করার কিছু নেই।
শিশুদের দিনের বেলা বাসা থেকে বের না করা এবং গরম কাপড় ছাড়া কোনো অবস্থাতেই ঘরের বাইরে বের না হবার উপদেশ দিয়েছেন তিনি।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজার রহমান জানান, শুক্রবার সকালে রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রী। তবে চলমান এ শৈত্যপ্রবাহ কমতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম