নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ঢাকার চারপাশে নদ-নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে শিল্পবর্জ্য ফেলা বন্ধ করা হবে। এক্ষেত্রে যেসব শিল্প-কারখানায় তরল বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) থাকবে না, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। দেশের নদ-নদী অবৈধ দখলমুক্ত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
রবিবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর নাব্যতা এবং স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বিষয়ে পরামর্শ, সুপারিশ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে গঠিত টাস্কফোর্সের সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় নৌসচিব আব্দুস সামাদ উপস্থিত ছিলেন।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কাউকে প্রতিপক্ষ নয়, সবার বৃহত্তর স্বার্থে নদী দখলমুক্ত করতে শক্তিপ্রয়োগ অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এজন্য শোধিত বর্জ্য ফেলতে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
নদ-নদী দখলদারের প্রকাশিত তালিকায় কোনো আপত্তি থাকলে প্রয়োজনে যাচাই-বাছাই করা হবে বলে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদী রক্ষা কমিশন সারাদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে একটি বই করেছে। এখন এটার ওপর মন্তব্য করার সুযোগ সবারই আছে। এটা নিয়ে কারও আপত্তি থাকলে সেটা জানানোর সুযোগও আছে। আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করবো। কাউকে জোরপূর্বক অপরাধের জায়গায় নিতে চাই না। কারও প্রতি অবিচার করা হবে না।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম